মালয়েশিয়া থেকে ফিরল পাচারের শিকার কিশোরী

মালায়েশিয়ায় পাচারের শিকার একটি কিশোরী মেয়েকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় মালিন্দ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কিশোরি মিনা (ছদ্মনাম) গত তিন মাস আগে দালাল জহুরুলের প্ররোচনায় মালয়েশিয়া এসেছিল। এ প্রতিবেদককে সে জানায়, কুমিল্লার জহুরুল মালয়েশিয়ায় রেস্তোরাঁয় কাজ দেবে বলে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ঢাকা থেকে অন এরাইভেল ভিসায় ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায় তাকে।

সেখান থেকে নদীপথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মালয়েশিয়ার ক্লাং-এ। তিনদিন ক্লাংয়ে রেখে নিয়ে যায় রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরে।

সেখানে রাজবাড়ির নূর ইসলামের কাছে মিনাকে বিক্রি করে দেয় জহুরুল। নূর ইসলাম মিনাকে বুকিতবিনতাং এলাকায় নিয়ে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করেন। মিনা প্রতিবাদ করতে গেলে নূর ইসলাম তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।

এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে মিনা কৌশলী হয়ে উঠে। একদিন সে নূর ইসলামকে বলল বর্তমানে মালয়েশিয়ার অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিদিন ধরপাকড় চলছে। আপাতত একটি ট্রাভেল পাস করে রাখা দরকার। নূর ইসলাম রাজি হয়ে ১৫ জুলাই বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আসে ট্রাভেল পাস নিতে।

ওই দিন দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস না দিয়ে বলা হয় একদিন পর আসতে। মিনা পরদিনদূতাবাসে গেলে নূর ইসলাম তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়।

মিনা তখন কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সব খুলে বললে পাচারকারীরা বিপদ আঁচ করতে পেরে সটকে পড়ে। মিনাকে দূতাবাসের হেফাজতে রেখে ওই দিনই স্থানীয় আম্পাং থানায় এ দুই নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে মিনাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

সূত্রঃ যুগান্তর