যে কারণে ৩৬ এজেন্সির ৪৮৪১ জনের হজ এখনও অনিশ্চিত

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দফায় দফায় মিটিং করার পর এখনও ৩৬ এজেন্সির মোট ৪ হাজার ৮৪১ জন হজযাত্রীর বিমান টিকেটের পে-অর্ডার হয়নি। এর মধ্যে ৩১টি এজেন্সির ৩ হাজার ৮৩৫ জনের ও ৫টি এজেন্সির ১ হাজার ৬ জন হজযাত্রির বিমান টিকেটের পে-অর্ডার বাকি রয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ৫৬টি ও পরবর্তীতে ৮৮টিসহ মোট ১৪৪টি এজেন্সিকে বিমান টিকেটের পে-অর্ডার না কাটায় আলোচনার জন্য নোটিশ দেয়। এতে সাড়া দিয়ে অধিকাংশ এজেন্সি বৈঠকে অংশ নিলেও দুই দফা নোটিশের পরও অভিযুক্ত ৩৬ এজেন্সি শুনানিতে অংশ নেয়নি।

এ অবস্থায় গতকাল (বুধবার) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি স্মারকে ৫ এজেন্সিকে ফের আজ (১৯ জুলাই), আর বাকি ৩১ এজেন্সিকে আগামী ২২ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে।

উল্লেখ্য চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স ১৮০টি ফ্লাইটে মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন ও অবশিষ্ট যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।

ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৪ হাজার ৫৯৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৩১টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৭টিসহ মোট ৬৮টি ফ্লাইটে এসব যাত্রীদের পরিবহন করা হয়। হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ২২৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থানার ২১ হাজার ৩৭০ জন রয়েছেন।