বিয়ের পর একটা মেয়ের সবচেয়ে আপন ব্যক্তি হলো তার স্বামী। কিন্তু সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন স্ত্রী। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতীয় এক নারী। তার অভিযোগ তার বিবাহিত জীবন চার বছরের। এর মধ্যে স্বামী তাকে জোরপূর্বক অস্বাভাবিক ‘ওরাল সেক্সে’ বাধ্য করে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারীর পক্ষে আইনি লড়াই করছেন অপর্ন ভাট। তার মাধ্যমেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে যান তার স্বামী। তাকে বাধ্য করা হয় ‘ওরাল সেক্সে’। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিচারপতি এনভি রামানা ও এমএম শান্তানাগৌদরের বেঞ্চ তার স্বামীকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
ঘটনাটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের। সেখানে সরকারকান্তা নামের একটি স্থানে ২০০২ সালে ১৫ বছর বয়সে বাগদান হয় ওই নারী ও তার স্বামীর। এরপর তাদের বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। তার স্বামী একজন ডাক্তার। কিন্তু তার মধ্যে রয়েছে অপ্রকৃত যৌন ক্ষুধা। এ জন্য তিনি বার বার স্ত্রীকে ওরাল সেক্সে বাধ্য করেন। এতে সায় দেন না ওই নারী। তার মানসিক অবস্থা তার স্বামী বুঝতে পারেন না। ঘটনা এখানেই শেষ নয়।
ওরাল সেক্সের বাইরেও তাদের শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য ভিডিও আকারে ধারণ করতে জোরাজুরি করেন ওই ডাক্তার স্বামী। চাপে পড়ে তার এসব চাহিদা পূরণ করেন ওই নারী। এতে রাজি না হলে তাকে হুমকি দেয়া হয়। শারীরিক অত্যাচার করা হয়। এমন অবস্থায় স্বামীর বিরুদ্ধে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকার পরও ধর্ষণ ও ওরাল সেক্সের অভিযোগে এফআইআর করেছেন ওই নারী। কিন্তু এ অভিযোগ আমলেও নেয়নি তার স্বামী। পাল্টা তার স্বামীও গিয়েছেন আদালতে।
এ বিষয়ে গুজরাট হাইকোর্ট বলেছে, এই অভিযোগ ৩৭৭ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ নং ধারাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার দাবিকে করা পিটিশনের রায় মঙ্গলবার স্থগিত রেখেছে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
শুনানির সময় বেঞ্চের একজন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তার পর্যবেক্ষণে বলেন, যদি স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে সম্মত থাকা অবস্থায় তারা ওরাল সেক্স করেন তাহলে তাকে অপ্রাকৃতিক যৌনতা বা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যৌনতা বলা যাবে না।