চলতি বছর হজযাত্রা উপলক্ষে নিবন্ধনের সময় একশোটি আসন কম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়। হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটে ৪১৯ জনের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকলেও নিবন্ধনে তথ্য দেওয়া হয় ৩১৯ জন করে। আর নিবন্ধনের ওই তথ্য ধরেই আগাম টিকিট বিক্রি হয়। এখন জরিমানা দিয়ে যাত্রী পূর্ণ দেখিয়ে পরিচালনা হচ্ছে ফ্লাইট।
নির্দিষ্ট ফ্লাইটের বাইরে আর কোনো স্লট দেবে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এতে অনেক হজযাত্রীই সৌদি আরবে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। যদিও হজ কর্তৃপক্ষ বলছে এবার কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই সব হজযাত্রী বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এবছর চারটি বোয়িং উড়োজাহাজ দিয়ে বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে তিনটি ফ্লাইটে আসন সংখ্যা ৪১৯টি করে। কিন্তু টিকিটের জন্য নিবন্ধন করা হয় ৩১৯টির। এভাবে প্রতিটি ফ্লাইটেই একশোটি সিট ফাঁকা রেখেই বিমানের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য রাখা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে হজযাত্রার প্রথম দিক থেকেই কয়েকটি প্লেনে কিছু কিছু সিট খালি যাচ্ছে।
মূলত বিমান কর্তৃপক্ষের ভুল তথ্য দেওয়ার কারণেই এখন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও সৌদি এয়ারলাইন্সকে একশো সিটের জরিমানা দিয়ে যাত্রী পূর্ণ করে ফ্লাইট চালাচ্ছে বিমান। আর বছরের প্রথম ফ্লাইটে ৪০২ জন যাত্রী গেলেও গণমাধ্যমকে তথ্য দেওয়া হয় ৪১৯ জন যাওয়ার। এ বিষয়ে হজক্যাম্পে অবস্থিত বিমান অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কোনো বছর এ সমস্যা থাকে না। সব উড়োজাহাজ কোম্পানির যাত্রী ক্যাপাসিটি কিছুটা লস থাকে। এতে দু’চার জন যাত্রী যায় না। সেটা থেকেই আমরা যাত্রীর ব্যাক-আপ পূর্ণ করবো। আশা করি কোনো বিপদ আসবে না।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিনই টিকিট ও ভিসার ব্যবস্থা করছি। সৌদি দূতাবাসও এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। তারা সহযোগিতা করছে। হয়তো কিছু এজেন্সি দুশ্চিন্তায় থাকে, পরে তাদেরও সমস্যার সমাধান হয়।