জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসবো, নয়তো আসবো না : প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রনিক উপায়ে বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চাইপানবাবগঞ্জ জেলার লক্ষাধিক সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেকট্রনিক উপায়ে বিতরণ করা হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের সভাপতিত্বে মনোহরদী-বেলাব আসনের সাংসদ এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিবপুরের সাংসদ মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও পলাশের সাংসদ কামরুল আশরাফ খান পোটন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমকর্মী, সুবিধাভোগী ২০ জন নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে ‘মানুষের সেবা করাই আমাদের কাজ, মানুষের পাশে থাকাই আমাদের কাজ’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, জনগণ ভোট দিলে আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবো, নয়তো আসবো না। এটা জনগণের ওপর নির্ভর করে, আল্লাহর ওপর নির্ভর করে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দেন।

ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছুবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি ভাতা দেওয়ার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করে যাচ্ছি। যাতে হতদরিদ্রদের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারি ভাতার টাকা এখন আর কেউ মেরে খেতে পারবে না। মাঝখান থেকে কেউ আর টাকা নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সে জন্য আমরা সহযোগিতা দিচ্ছি। পুরো সংসারের দায়িত্ব আমরা নেবো না। মানুষ যাতে পুরোপুরি ভাতার ওপর নিভর্রশীল না হয়, কর্মবিমূখ না হয়।

সরকারি ভাতার ওপর নির্ভর করে কর্মবিমূখ না হতে হতদরিদ্রদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য ছিলো দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না করা। মানুষের জন্যই কাজ করি আমরা। মানুষের জন্যই তো রাজনীতি আমাদের।

ভাতাভোগী মানুষের মধ্যে ইলেকট্রনিকভাবে এসএমএসের মাধ্যমে টাকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মধুমতি, এনআরবি, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে এই টাকা তোলা যাবে। সমাজের অবহেলিত-পশ্চাৎপদ মানুষের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা।

এ সময় তিনি আরো জানান, বয়স্ক-বিধবা-স্বামী নিগৃহিতা এবং প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষকে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তার সহায়তা। বর্তমানে ৬৬ লাখ ১৬ হাজার প্রান্তিক মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সেবা পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।