তিন তালাক নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। বহু বিতর্ক পেছনে ফেলে লোকসভায় পাস হয়েছে তিন তালাকবিরোধী বিল। কিন্তু তালাকবিরোধী আইন তৈরি হলেও আজও অন্ধকারের যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের মুসলিম মহিলাদের একাংশ। কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে তালাক দেয়ায় দেশজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের অনামী গ্রাম শ্যামলি। বছর দুয়েক আগে এ গ্রামেই বিয়ে হয়েছিল বছর ১৯-এর এক যুবতীর। নানান অভাব-অভিযোগের মধ্য দিয়ে চলছিল দাম্পত্য জীবন।
দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়েই কোনোক্রমে দিন কাটছিল ওই গৃহবধূর। কিন্তু সন্তান জন্ম দিতেই ঘটল বিপত্তি। সন্তানের দেখভাল’র পরিবর্তে গৃহবধূকে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার কারণেই গৃহবধূকে বাড়িতে নিয়ে যেতে আপত্তি ছিল পরিবারের। কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধে এক সপ্তাহের শিশুসহ ওই গৃহবধূকে তিন তালাক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
শ্বশুরবাড়ির আশ্রয় হারিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নির্যাতিতা গৃহবধূ জানিয়েছেন, আমার স্বামী ও তার পরিবার আমাকে অপমান করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছি বলে আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পণ বাবদ সাইকেল ও টাকা নিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
আমি তাদের এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে তালাক দিয়ে বাড়িছাড়া করা হয়েছে। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।