দুই বাসের চাপে তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর পর মৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শাহবাগ থানা পুলিশ তা দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মো. গোলাম নবী প্রতিবেদন দাখিলে পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী রাজীব মতিঝিল থেকে বিআরটিসি দোতলা বাসে উঠে মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। চলতি মাসের ৩ এপ্রিল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ থানাধীন পান্থকুঞ্জ পার্ক সংলগ্ন রাস্তার ওপর পৌঁছানো মাত্রই বিআরটিসি বাসটি ট্রাফিক সিগন্যালে পরে।
এ সময় বাসের পেছন দরজার কাছে দাঁড়ানো অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে রাজীব তার ডান হাত বের করেন। এরপর পরই হঠাৎ দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে পেছনের দিকে থেকে স্বজন পরিবহনের বাস এসে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি করে ওভারটেক করার চেষ্টা করে।
ওই সময় দুই বাসের চাপে রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজীবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে বিআরটিসি বাসচালক অহেদ আলীকে আটক করে। আর সেখানে গাড়ি রেখে পালিয়ে যান স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদ। তবে তাকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৫ এপ্রিল আসামিদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৮ এপ্রিল দুই দিনের রিমান্ড শেষে ওই দুই চালককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিনই আসামিরা জামিন আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল জামিন শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এরপরও কয়েক দফায় তাদের জামিন নাকচ হয়। বর্তমানে দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। শাহবাগ থানার এসআই মো. আফতাব আলী মামলাটি তদন্ত করছেন।
এদিকে ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব মারা যান।