কোথাও বেড়াতে গেলে প্রথমেই যেটা মনে আসে, তা হলো ছবি তুলে রাখা। কিন্তু জানেন কি, এমনও অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে বেড়াতে যাওয়া যায়, কিন্তু ছবি তোলা একেবারেই মানা। তুললে শাস্তি থেকে জরিমানাও হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু জায়গা।
চীনের জিয়াংসু ন্যাশনাল সিকিউরিটি মিউজিয়াম : চীনের নাগরিক ছাড়া এখানে এমনিতেই প্রবেশ করা যায় না। যদিও বা কোনওভাবে অনুমতি জোগাড় করে প্রবেশ করতে পারলেন, কিন্তু ছবি তোলা একেবারেই নিষেধ এখানে। ১৯২৭ সাল থেকে যাবতীয় ‘স্পাইং ইক্যুইপমেন্টস’ ও নজরদারির যন্ত্রপাতি রাখা রয়েছে এখানে।
লন্ডনের জুয়েল হাউস : চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, কিন্তু ছবি তুলতে পারবেন না একেবারেই। মণিমানিক্য দিয়ে মোড়া এই মুকুটটি লন্ডন টাওয়ারের মিউজিয়ামে ‘বম্বপ্রুফ গ্লাস’ দিয়ে ঘিরে রাখা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়া কুমসুসান প্যালেস : উত্তর কোরিয়া কুমসুসান প্যালেস অফ সানে ছবি তোলা নিষেধ তো বটেই। এমনকি বেড়াতে গিয়ে গাইডের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ছবি তুলতে পারবেন না। নাগরিকদের হেঁটে যাওয়ার মতো সাধারণ ছবি তোলাও মারাত্মক অপরাধ এ দেশে।
রোমের সিস্টিন চ্যাপেল : শুধুমাত্র ধর্মীয় কোনও কারণে এখানে ছবি তোলা মানা তা নয়। জাপানের একটি নেটওয়ার্ক সংস্থা ২০ বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করছে এখানে। ছবি ও ভিডিও তোলার কপিরাইট শুধুমাত্র তাদের।
অস্ট্রেলিয়ার উলুরু কাটা-জুটা ন্যাশনাল পার্ক : কোনও রকম বাণিজ্যিক কারণে আয়ার্স রকের ছবি তোলা একেবারেই যাবে না। অনুমতি নিয়ে ছবি তুললেও তা দেওয়া যাবে না কোনও রকম সোশ্যাল মিডিয়াতে।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে : উৎসাহীরা এখানে এসে ছবি তুললে শান্তি বিঘ্নিত হবে, এমনটাই মনে করেন গির্জা কর্তৃপক্ষ। তাই ছবি তোলা মানা। তবে গির্জার নিজের ওয়েবসাইট থেকে ছবি ডাউনলোড করা যাবে।
সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গলের লাইব্রেরি : বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন পাঠাগারে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের বইয়ের পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। ছবি তোলা তো একেবারেই মানা লাইব্রেরির ভিতরে, শক্ত জুতা পরেও প্রবেশ নিষেধ।
আমস্টারডামের রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট : ঘুরে দেখতেই পারেন পর্যটকরা। তবে ছবি তোলা নিষেধ। মোবাইলেও নয়। কারণ এখানকার বাসিন্দারা অনুমতি দেন না। আইনে কোনও বাধা নেই। তবে ছবি তুললে শাস্তি দেবেন স্থানীয়রাই!