যশোরে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার সন্দেহে ধর্ষককে গণপিটুনি

৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সন্দেহে যশোরে ইরাদত খান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সোমবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইরাদতের রান্নাঘরে একটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার হয়। ইরাদত খানের বিরুদ্ধে এর আগেও এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলায় পুলিশ তাকে আটকও করেছিল। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হন তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে ইরাদত খান ভাত রান্নার কথা বলে প্রতিবেশী মতলেব খানের স্ত্রী মেহেরুননেছাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর বিকেল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ইরাদতকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। এসময় ইরাদত অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে তাকে মারপিঠ করলে সে স্বীকার করে যে, মেহেরুননেছার লাশ তাদের রান্নাঘরের প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ওই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে মেহেরুননেছার লাশ উদ্ধার করে বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ইরাদত খানকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। মেহেরুননেছার লাশ তাদের বাড়িতে পুলিশ প্রহরায় রাখা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হায়াৎ মাহমুদ বলেন, মেহেরুননেছাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্থানীয় অভিযোগ, ইরাদত খানের বিরুদ্ধে বছরখানেক আগে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয় সে।