নছিমন ও ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালানো বাদ দিয়ে মালেশিয়ায় গিয়ে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করা হলো না শাহজালালের। বরং এতিম হলো তার দুই শিশু সন্তান। স্বামী হারিয়ে এবং স্বপ্ন ভঙ্গে নির্বাক তার বিধবা স্ত্রী স্বপ্না। আদম ব্যাপারীর প্রচারণায় নিঃস্ব হলো তার পরিবার।
৯ দিন পরে শাহাজালের লাশ বাড়িতে পৌছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। অবুঝ দুই শিশুর চাহনী, নির্বাক স্ত্রী এবং সন্তান হারা মায়ের করুণ আত্ননাতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এ সময় চোখের অশ্রু নিবারণ করতে পারেনি দুর থেকে দেখতে আসা আত্নীয়-স্বজন, গ্রাম ও এলাকার শতশত মানুষ।
যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরবাগ গ্রামের মৃত মোশারেফ হোসেনের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক শাহাজালাল আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে পানিপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায়।
পারবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার শাহাজালাল ও রায়পটন গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আত্তাপ হোসেনের ছেলে আদম ব্যাপারী আব্দুস শহীদের প্ররোচনায় বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। ঢাকা থেকে সাদ্দাম হোসেন বাড়ি ফিরলেও শাহাজালাল বিমান যোগে ইন্দোনেশিয়া যান। এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকে পানিপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল শাহাজালালের। কিন্তু গত ৭ জুলাই ইন্দোনেশিয়ায় সে মারা যায়। তবে কি ভাবে মারা গেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। রোববার সকাল ১০ টার দিকে শাহাজালালের বাড়িতে পৌছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়।
বেলা ১১ টার দিকে হাজিরবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাযার নামাজ শেষে পারবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।