বুদ্ধিমান মেয়েরা যে কথা গুলো কখনই ছেলেদের কাছে বলে না

বুদ্ধিমান মেয়েরা যে- বুদ্ধিমান মানুষ হয়ে থাকলে আপনি ইতিমধ্যেই জানেন সবার সামনে কিছু কথা বলা একেবারেই বোকামি। অন্যদের সামনে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি কথাই যথেষ্ট। জেনে নিন নিরীহ সেসব কথা যা আসলে কখনোই বলা উচিৎ নয়। মুখ ফস্কে অনেকেই অনেক কিছু বলে ফেলেন। বিভিন্ন ধরণের অপ্রাসঙ্গিক চুটকি, বেফাঁস কথাবার্তা বলার মতো কাজ সবাই করেন। কিন্তু এমন কিছু কথা আছে যা বলে ফেললে সবাই ধরেই নেবে আপনার বুদ্ধি কম, ব্যক্তিত্বটাও নড়বড়ে। বিশেষ করে অফিসে তো এ ধরণের কথা কখনোই বলা যাবে না।

মেনে নেওয়া যায় না: জীবনের অনেক ব্যাপার আছে যা কেউই মেনে নিতে পারেন না। আমাদের সাথে অনেক কিছু হয় যা মেনে নিতে কষ্ট হয় আমাদের। কিন্তু মেনে নিতে পারছেন না বলে তা নিয়ে সবার সাথে শোরগোল করাটা সমাধান তো নয়ই, বরং অন্যদের সামনে নিজের ব্যক্তিত্ব কমিয়ে ফেলা। কোনো কিছু মেনে নিতে না পারলে তার কারণটা জানবার চেষ্টা করুন। এ নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই।

শুনতে খারাপ লাগলেও: এই কথাটা দিয়ে কোনো বাক্য শুরু করলে, এর পরে আপনি যতো বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়াই উপস্থাপন করুন না কেন, তা শুনতে বোকামিই মনে হবে। বাক্যের শুরুতেই যে আপনি প্রকাশ করে ফেলেছেন আত্মবিশ্বাসের অভাব! এতে আপনার কথা যারা শুনছেন তারাও আপনার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন।

এটাই তো নিয়ম: প্রযুক্তি এখন এতো দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে যে অফিস-আদালতে অনেক প্রক্রিয়াতেই নতুন নতুন পদ্ধতি চলে আসছে। আপনি যদি নতুন কোনো কাজ শিখতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন আপনি যা জানেন সেটাই নিয়ম, তাহলে আপনার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে সবার মাঝে।

এখনই হয়ে যাবে: অথবা “এক মিনিটেই শেষ করে দিচ্ছি” এ ধরণের কথা বলতে গিয়ে আপনার মনে হবে আপনি খুব চটপটে। আসলে কিন্তু অন্যরা এ কথা শুনলে ভাবতে পারে আপনি কাজটা ঠিকমতো করছেন না। কোনো কাজ করতে যতো সময় লাগবে, তা সত্যি করেই বলুন।

চেষ্টা করবো: এ কথাটা আপনার ওপর থেকে অন্যদের আস্থা কমিয়ে দেয়, কারণ কথাটি শুনলে মনে হয় আপনাকে দিয়ে কাজটি না হবারই সম্ভাবনা বেশি। আপনাকে কিছু করতে বলা হলে বলুন আপনি কাজতা করবেন, পছন্দ না হলে অন্য কিছু করে দেবার প্রস্তাব দিন।

সে মোটেও ভালো না/আলসে/ফালতু: কারও ব্যাপারে গালমন্দ করাতে আপনার কোন লাভ নেই, একটুও না। কারণ কী জানেন? সে যদি আসলেই খারাপ হয়ে থাকে তবে সবাই তা জানে। আর যদি সে আসলে ভালোমানুষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকে খারাপ বলায় এটাই প্রমাণ হয়ে যায় যে আপনিই আসলে খারাপ।

এটা আমার কাজ না: নিজেকে অকর্মণ্য প্রমাণ করতে এই একটা কথাই যথেষ্ট। পরিবারে বা বন্ধুদের মাঝে এই কথাটা বললে আপনার কাছের মানুষেরা তো কষ্ট পাবেনই, অফিসের মতো জায়গায় এ কথাটি বলা মানে আপনি একেবারে ন্যুনতম কাজ করতে প্রস্তুত। এর চাইতে বেশি কিছু আপনাকে দিয়ে করানো সম্ভব নয়।

পারবো না: এটা হলো “আমার কোনো দোষ নেই” এর সহোদর ভাই। মানুষ এই কথাটা শুনতে পছন্দ করে না। কারণ “পারবো না” এর মানে তারা ধরে নেয় আপনি কাজটি আসলে করতে চান না। আপনার যদি কোনো কাজ করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে কি পারবেন না তার বদলে বলুন কি পারবেন। যেমন আজকে রাতে অফিসে বেশি সময় থাকতে পারবেন না, তা বলার পরিবর্তে বলুন আপনি কাল সকালে তাড়াতাড়ি এসে কাজ শেষ করে ফেলবেন।

আমার কোনো দোষ নেই: অন্য কারও ওপরে দোষ চাপানোটা কোনো ক্ষেত্রেই কাম্য নয়। আপনি যদি কোনোভাবেই ভুল একটি কাজের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে দোষ স্বীকার করুন। যার ক্ষতি হয়েছে তার সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বোঝান যে আপনি আসলে বুঝতে পারেন নি এমন ক্ষতি হবে। অন্য কারও দোষ দেওয়া শুরু করলেই আপনাকে সন্দেহের চোখে দেখা হবে।

কাজ করতে ভালো লাগে না: বিশেষ করে অফিসে আপনি যদি বলেন চাকরিটা আপনার আর ভালো লাগছে না, তবে আপনার কপালে শনি আছে। এতে আপনি যে একটি নেতিবাচক ধরণের মানুষ তা প্রমাণ হয়ে যায়। আপনার সহকর্মীদের মানসিকতা খারাপ করে দিতে পারে এই একটি কথা। আর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কানে এ কথা গেলে আপনার ছাঁটাই হয়ে যাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার। কারণ এই চাকরিটির জন্যই হয়তো আরও উৎসাহী কেউ অপেক্ষা করছে।