প্রতিবেশি দেশগুলোর মশ্যে সম্পর্ক ভাল নেই সৌদি অরবের ।বিশেষ করে ইয়েমেনের সাথে।দু দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে। যুদ্ধরত সৌদি সেনাদের যে কোনো অপরাধে রাজকীয় ক্ষমা ঘোষণা করে বলা হয়েছে তারা যদি সামরিক আইন লঙ্ঘন করে বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তাও তারা ক্ষমার আওতায় পড়বে। সৌদি সরকার ইয়েমেনে দেশটির সেনাদের হুথি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অবস্থানকে বীরোাচিত ভূমিকা হিসেবে দেখে গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয়।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে ইয়েমেনে জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া সৌদি আগ্রাসন ও সামরিক অবস্থানকে বিতর্কিত বলে সমালোচনা করা হচ্ছে। সৌদি যুদ্ধ বিমানের গোলাবর্ষণে হাজার হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে, দেশটিতে দুর্ভিক্ষময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং বন্দরগুলো সৌদি অবরোধে থাকায় সেখানে কোনো খাদ্য ও ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। কলেরায় ইতিমধ্যে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে।
জাতিসংঘ ইয়েমেনে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের জন্যে আন্তর্জাতিভাবে কঠিন চাপের মুখে পড়ার পর এমন সময়ে দেশটিতে সৌদি সেনাদের যে কোনো অপরাধ ক্ষমা হিসেবে রাজকীয় ঘোষণা প্রমাণ করল এসব বিষয়কে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না বাদশাহ সালমান। তবে সৌদি সেনাদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠার পরও দেশটি একধরনের রাজকীয় ক্ষমা ঘোষণা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। তবে সৌদি সেনারা যে জীবন হাতে নিয়ে যুদ্ধ করছে তাদের উৎসাহিত করতেই এই ঘোষণা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরি মধ্যে ইয়েমেন কয়েকবার সৌদি অারবে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলে এতে বেশ কয়েকজন সেনা মারা যায়।এবং সৌদি বিমানবন্দরে হামল করেছিলো দেশটি।এতে করে সৌদি আরব আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এমন ঘোঘনা দিছে বলে অনেকে মনে করেন যাতে সৌদি সেনারা খুশিতে প্রনপন যুদ্ধ করে।