মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে- প্রিয় মহিলা বন্ধুরা, আপনার মনে পরে যেদিন ঘুম থেকে উঠে এমন এক অদ্ভুত দিন এসেছিল যখন আপনি আবিষ্কার করেছিলেন যে আপনি আর একটি ছোট মেয়ে নন – আপনি একজন মহিলাতে রূপান্তরিত হয়েগেছেন । তার এন্ট্রির একটি নোটিশ ছাড়াই এমন ঘটে গেছে আপনার জীবনে। এ তো যেন হস্তক্ষেপ, তাই না ?

আজকের মানুষজন এই “কান্নার দিন” সম্পর্কে সচেতন, যেখানে একজন মহিলার মাসে প্রায় পাঁচ দিন এমন সময়ের মধ্যে চলে যায় – P P.E.R.I.O.D.S. ওহ অপেক্ষা করুন, আমি কি শুধু পিরিয়ডের কথা বলেছি? ওহ হে ভগবান, আমি শুধু একটি এমন শব্দ বলেছি যেটা নিয়ে নারীদের কথা বলা উচিত নয়! মানুষ সাধারণত এই বিষয়ে আলোচনা করে না। তাই নয় কি ?

তবুও, এটা আপনার শারীরিক নিয়তি, তাই আপনাকে এটার সাথে মোকাবিলা করতে হবে!

আমার বিশ্বাস! এইসব ‘মহিলারা’ এই সমস্যার সাথে ভালোভাবে লড়াই করেছে, যেটা সবাইকে দেখা উচিত। এইসব মহিলারা তাদের পিতা-মাতা ও বন্ধুদের কি বলেন যখন তাদের পিরামিড চলে। আমি নিশ্চিত যে এই কথা গুলো পড়ে আপনি বিস্মিত হবেন এবং আপনি অবশ্যই হাসতে থাকবেন অনেকদিন ধরে !

১। আমার ‘হাঙ্গর সপ্তাহ’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

ডেসির তার বাবার সাথে কথোপকথন টা দেখুন, এটা খুবই সোজাসুজি কথা, কোন নাটক না করেই ।

বাবা– কি ডেসি, কেমন কাটছে তোমার দিন ?

ডেসি– এটা আমার হাঙড় সপ্তাহ বাবা, আমার পেটে খুব ব্যথা ।

বাবা– তোমার কি যথেষ্ট প্যাড আছে ? আর পেটের ব্যথা দূর করার জন্য চকোলেট খাও।

সত্যিই, ওর বাবা খুবই সাহায্যকারী তাই না ।

২। আমার ‘লাল মদের স্নান’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

তানেশা এবং তার বাবা একটা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখে ।

বাবা– (ভোর 6 টায় হাঁটার জন্য) : চলো, ওঠো, আমাদের হাঁটতে যেতে হবে।

তানেশা– (কোনভাবে ঘুম থেকে উঠে) বাবা, আমায় বিরক্ত করো না। এখন ৭ দিনের জন্য আমি লাল মদের স্নান নেবো ।

বাবা– ওহ, এই ব্যাপার। তাহলে আমি একাই যাই হাঁটতে আজ ।

উনি খুবই বুদ্ধিমান সত্যি ।

৩। আমার ‘প্রতি মাসের জন্মদিন’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

ফেরেদার বড় দাদা একজন ডাক্তার। তাই তার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলা সহজ ।

ফেরেদার দাদা– (ফোন করে জিজ্ঞেস করল) হ্যালো ফেরেদা, কেমন আছো?

ফেরেদা– দাদা, আমার পেটে ব্যথা।

দাদা– দাঁড়াও? তুমি কি আজ বাজে কিছু খেয়েছো ?

ফেরেদা– না দাদা, আজ আমার জন্মদিন (দুঃখিত আওয়াজে)।

দাদা– ওহ বেচারি, ভালো হয়ে থেকো, বিশ্রাম নাও ।

এখন ফেরেদা তার দাদাকে দুষ্টু মিষ্টি নামে ডাকে ।

৪। আমার অন্যায়ের পর্যায়

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

মা– এমা, তুমি আমার সাথে পার্টিতে যাচ্ছো না কেন?

এমা– মা, আমার শরীর ভালো নয়।

মা– তুমি সবসময় এমন করো। তুমি কি মেলামেশা করতে পছন্দ করো না ?

এমা– উফফফফ মা, তা নয়, আমার প্যান্টের ভিতর খুনোখুনি চলছে।

মা পার্টি যাওয়া ছেড়ে দিয়ে আমার পরিচর্যা করতেই শুরু করে দিল।

আশ্চর্য তাই না? মা আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।

৫। আমার ‘আন্ট ফ্লো’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

সেরেনা কনভের গল্পটা বেশ মজাদার। সে এবং তার মা আর বোন আজব সব শব্দ ব্যবহার করে পিরিয়ড বোঝানোর জন্য যাতে বাবা আর ভাই বুঝতে না পারে।

মা– সেরেনা, আজ তুমি কি করছ? তুমি আজ কাজে যাবে না?

সেরেনা– (পেটে ব্যাথা নিয়ে শুয়ে আছে)

মা– তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না আমি কি বলছি?

সেরেনার বোন– (নিচ থেকে চেঁচিয়ে) মা আন্ট ফ্লো এসেছে সেরেনার।

মা– ওহ, ঐ সয়তান টা আবার এসেছে।

সত্যি এই মহিলারা।

৬। আমার ‘মোটা ছেলে’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

জিনি তার ভাই এর সাথে এমনভাবে কথা বলে।

ভাই– কি করছো? তুমি শুয়ে আছো কেন? কিছু হয়েছে তোমার?

(একভাবে বলে যাওয়ার পর জিনি বলল)

জিনি– ভাই চুপ কর, আমার মনে হচ্ছে আমার উপর কোন মোটা ছেলে বসে আছে। তাই তুই চুপ কর আর বিদায় হ।

হ্যাঁ, সত্যি একটা মোটা লোক জিনির উপর বসে আছে । হা হা হা

৭। আমার ‘লাল বিয়ে’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

আপনি বিশ্বাস করবেন না কি রূপক জিনিস ব্যবহার করে কিমি।

মা– (কিমির ভাইকে) যাও বাজারে গিয়ে আমার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে এসো।

কিমির ভাই– সবসময় আমায় বলো কেন? কিমি কে বলো আনতে ।

মা– কিমি, যাও সোনা আমার জন্য বাজার থেকে কিছু মাসকাবারি বাজার নিয়ে এসো।

কিমি– মা, এটা আমার লাল বিয়ের দিন। আমি আজ নেকড়ে বাঘে পরিনত হয়ে যাব আর আমার লাল জামা আসছে। তাই আমি কোথাও আজ যেতে পারবো না ।

মা– আমি বুঝতে পেরেছি সব।

কিমির ভাই– যতসব!

আপনার কি মনে হয় এটা একটা ভালো পিরিয়ড কোড ?

৮। আমার ‘কিছু কিছু ফিসফিস’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

এমন আজব কথোপকথন বাবা মা এর সাথে আমি প্রথমবার শুনলাম। বাবা মা এর সাথে এমন খোলাখুলি কথোপকথন প্রথমবার শুনেছি। সেলাম। আপনিও পড়ে দেখুন ।

বাবা– এন্ডি কোথায় তুমি?

এন্ডি– (বিছানা থেকে উঠে) ফিসফিস কিছু কিছু সাথে তার পাখা।

বাবা– বুঝতে পেরেছি। থাক থাক!

দুজনেই হাসলেন ।

পিরিয়ডের কথাবার্তাও হাসিতে পরিনত হতে পারে। এটা তার মধ্যে একটা ।

৯। আমার ‘ব্লোটিং’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

রিনি তার মা এর কাছে গেল আর এটা হলো ।

মা– কেমন আছো সোনা ?

রিনি– সেরকম ভালো নয় মা ।

মা– এই তো সকালে তুমি ভালো ছিলে, হঠাৎ কি হলো ?

রিনি– মা, আমি মরে যাচ্ছি পেটের ব্যথা আর ব্লোটিং এ । হে ভগবান !

মনে হয় পিরিয়ড খুব ভয়ানক। তাই না ?

১০। আমার ‘তুলোর ঝুঁটি’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

লারা বাথরুম থেকে তার মা কে ডাকল আর কি বললো দেখুন ।

লারা– মা, কেন আমাদের কোন তুলোর ঝুঁটি নেই ?

মা– (জোরে হাসে) :এই নাও প্যাকেট টা ।

লারা– এটা কি ?

মা– তোমার তুলোর ঝুঁটি ।

আপনাকে বলে রাখি রে, এই প্যাকেট টা হলো ট্যামপোন যাকে লারার মা তুলোর ঝুঁটি বলল। পিরিয়ড হাস্যকরও হতে পারে ।

১১। আমার ‘উচ্চ অসট্রজেন’

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

অপনি কখনও ভাবতে পারেন পিরিয়ডের ডাকনাম কোন ওষুধের নামে হতে পারে ? কখনোই নয় । আসুন দেখি কেটি তার পিরিয়ড নিয়ে তার মা এর সাথে এই নিয়ে কিভাবে কথা বলে।

মা– বাহ কেটি, তোমার ত্বক টা দারুন লাগছে। কোন ফাউন্ডেশন লাগিয়েছো?

কেটি– মা আমার এটা আমার উচ্চ অসট্রজেন, তাই এইরকম লাগছে।

মা– ঠিক আছে। সে বুঝতে পেড়ে গেছি ।

এটার একটা দরকারি প্রত্তুতর দরকার ছিল। তাই না ?

১২। আমার ‘মর্টিন ‘

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

আমি এটাকে ১০ নং দেবো। আটরিয়া পিরিয়ডকে মর্টিন (আসলে মাথা ব্যথা) বলে। আসুন দেখি সে এই নিয়ে কি করে কথা বলে তার অভিভাবকদের সঙ্গে ।

আটরিয়া– মা, আমার মর্টিন হয়েছে।

(এটা সোজা কথা, তাই বাবা ও বুঝতে পেরেছে এটা)

মা– ভালো, বাবা তোমার জন্য বাজার থেকে কিছু আনবে কিনে।

বাবা– এই আমি যাচ্ছি আর তোমার জন্য ওষুধ আনছি ।

সব ভালো, আটরিয়ার ভাই এটাই ভাবলো যে এটা একটা সাধারণ মাথা ব্যথা বা পেটে ব্যথা বা গায়ে ব্যথা এমনকি সারা গায়ে ব্যথা । কিন্তু হ্যাঁ, সেই হিসেবে ঠিকই ।

১৩। আমার মাসের ‘সেই’ সময়

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

একটা দারুণ কথোপকথন ট্রেমা আর তার বাবা মা এর সাথে । আসুন দেখি।

বাবা– এন্ডি বাজার থেকে আমার জন্য পাউরুটি নিয়ে এসো।

ট্রেমা– উফফফফ, একদম না ।

বাবা– ওহ ওঠো, তুমি খুব আলসি ।

মা– ওকে কিছু বলো না, এটা ওর মাসের ‘সেই’ সময় ।

বাবা– চুপ, ঠিক আছে, যাও গিয়ে শুয়ে পরো ।

এই পিরিয়ডের কোড টি নিতে পারেন ।

১৪। আমার মেয়েলি সমস্যা

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

ডাকোডার বাবা খুব সেবা করতে পারেন। দেখুন তার বাবা কি বলছেন তার পিরিয়ডের সময়।

বাবা– ডাকো, আমার জন্য একটু চা করো তো।

ডাকোডা– বাবা, আমার মন নেই বানানোর।

বাবা– কেন ? চা তৈরি করতে করতে তোমার মন টাও ভালো হয়ে যাবে।

ডাকোডা– চুপ করো বাবা, আমার মন নেই চা বানানোর, আমি শুতে যাচ্ছি যতক্ষণ না আমার শেষ হচ্ছে।

বাবা– তুমি একটা বোকা। কেন তুমি এমন করছো? কি হয়েছে ?

ডাকোডা– কিছুনা । আমার মেয়েদের সমস্যা শুরু হয়েছে ।

বাবা– ওহ, আমি আমাদের দুজনের জন্য চা বানাচ্ছি।

আহ, বাবা সত্যি খুব সাহায্যকারী, তাই না ?

১৫। আমার পার্থনা করার সময় নয়

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে তাদের বাবা-মা এর সাথে এই কথোপকথন গুলি দেখলে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন…

যখন পরিবারের সবার পার্থনা করার সময় তখন স্যান্ডির পিরিয়ডের কারনে সে যেতে পারবে না । দেখুন সে তার বাবা মা এর সাথে কিভাবে এই নিয়ে কথা বলছে।

বাবা– পার্থনার জন্য এসো স্যান্ডি ।

স্যান্ডি– আমি যাচ্ছি একটু পরেই ।

মা– তাড়াতাড়ি এসো পার্থনার জন্য। কেন শুনছো না ?

স্যান্ডি– মা, দয়া করে যাও, আমার ভালো লাগলে নিশ্চয়ই যাবো।

কাকার ছেলে– আরে, চল পার্থনার জন্য বোন ।

স্যান্ডি– হে ভগবান, আরে তোমরা যাও, এটা আমার ‘পার্থনা করার সময় নয়’।

পরিবারের সবাই চলে গেল আর কিছু না বলেই। বড় রা বুঝতে পারল তার কথা টা ।

সত্যি বন্ধুরা, বিচার করা থামাও

আশা করি আপ্যায়িত এই গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে।