ফের হার এড়াতে ব্যর্থ বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম টেস্টে যা তা। দ্বিতীয় টেস্টে এসেছেও লজ্জায় লালে লাল বাংলাদেশ। কিংস্টোনের ম্যাচটিতে জয় পেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৩৫ রান। হাতে দুইদিন। অথচ ১৬৮ রানেই থেমে যেতে হলো বাংলাদেশকে। ফলে প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ১৬৬ রানের জয় তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৯ রানে আটকে দিয়ে ভালো কিছুর বার্তা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৭ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ উইকেট শিকার করে সাকিব একাই উইন্ডিজদের ব্যাটিং ছিন্নভিন্ন করে দেন। ঘরের বাইরে প্রতিপক্ষকে কিংবা প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই সবচেয়ে কম রানে অলআউট করার রেকর্ড বাংলাদেশের। আগেরটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ সালে মুলতানে, ১৭৫ রান।

প্রতিপক্ষের ৩৩৫ রান তাড়া করতে নেমে দিনটা সাকিব নিজের করে নিতে চাইলেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানটাও (৫৪) যে তিনিই করেছেন। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবই অর্ধশতক করেছেন। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ করা তামিম আজকে কোনো রান না করেই ফিরে যান। দলের ২ রানের মাথায় ওপেনার তামিম ইকবাল আউট হয়ে ফেরেন। আরেক ওপেনার লিটন দাশ দৃঢ়তার সঙ্গেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৩৩ এবং দলীয় ৪০ রানের মাথায় তিনিও সাজঘরে ফিরে যান। প্রথম ইনিংসে কোনো রান না করা মুমিনুল এই ইনিংসে করেন ১৫ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহও ব্যর্থ। মুশফিক এসে সাকিবকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন। ৩৬ বলে ৩১ রান করে হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১২১ রান। ১২১ রানেই নুরুল হাসানকে হারিয়ে ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে যায় বাংলাদেশের।
অন্য প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন সাকিব। এরপর দলীয় ১৬২ রানের মাথায় তিনিও হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। বাংলাদেশের ইনিংস আক্ষরিক অর্থেই তখন শেষ হয়ে যায়।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া হোল্ডার দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও হোল্ডারের পকেটে যায়।