দল জিতলে নগ্ন হবেন না পাঁচ মাস

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই দলের জয়ে নগ্ন হওয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির মডেল মারিয়া লিমান। শুধু বলেছেন তা নয়, ঘোষণার দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাঁতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তার মতই দলের সমর্থনে বার বার নগ্ন কিংবা অর্ধনগ্ন হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান মডেল নাইভস সেলসিয়াস। কিন্ত এবার তিনি সুর তুলেছেন লুকা মডরিচরা বিশ্বকাপ ঘরে তুললে আর নগ্ন হবেন না তিনি। তাও শুধু পাঁচ মাসের জন্য।

রোববার রাতে নিজের টুইটারে এমন ঘোষণা দেন ক্রোয়েট মডেল নাইভস। সেখানে তিনি লিখেন, ‘লুকা-রেকিটিচরা বিশ্বকাপ আসরে আমার সব আশা পূরণ করেছে। তাদের জয় উদযাপন করতে আমি বার বার নগ্ন হয়েছি। তবে এবার পণ করছি তোমরা যদি বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে নিয়ে আসো, তবে আমি নগ্ন হব না। আগামী পাঁচ মাসের জন্য কেউ আমার শরীর দেখতে পারবে না।’

তবে তার আগে আরও একটি টুইটে তিনি লিখেছে, ‘আমি অপেক্ষা করবো আমার দলের প্রথম গোলটির জন্য, ততক্ষণ আমি নগ্ন থাকবো। তোমাদের সেই ছবিও দেব। তবে মডরিচদের জয়সূচক গোলটির পর থেকেই চিত্র বদলে যাবে। আমার দলের জন্য আমি সব করতে পারি।’

নাইভস সেলসিয়াসের ভক্তরা শেষ কবে তার শরীরে সম্পূর্ণ পোশাক দেখেছেন তা হয়তো চিন্তা করেও বলতে পারবেন না। তবে তারে টুইট দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়েছেন। অনেক ভক্ত তার টুইটে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে আবার কটুক্তিও করেছেন।

ইভান মরিতিচ নামে এক টুইট ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যার গায়ে ঠিক মতো কোনোদিন কাপড় দেখিনি, সে আবার তার শ্যামলা শরীর ঢাকবে পুরো কাপড়ে….!!! আশ্চর্য।’

মিয়ানা ড্যান্সিয়া নামে একজন লিখেছেন, ‘তুমি সারাবছর তোমার শরীর দেখাও। তোমার শরীরের প্রতিটি বাঁক অনেক সুন্দর। পুরো কাপড় পরে সেগুলোকে একেবারে হারিয়ে ফেলো না যেন।’

নাইভস সেলসিয়াসের সাবেক স্বামী দিনো দ্রেপিচ ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি যখন মাঠে খেলতেন, তখন সেখানে উপস্থিত থাকতেন নাইভস। স্বল্প পোশাকে তার উপস্থিতি চাঙ্গা করে দিতো সমর্থকদের। এমনও আছে ক্রোয়েটদের গুরুত্বহীন খেলার মাঠেও থাকতো সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। টাইট জিন্সের সঙ্গে বড় গলার টি-শার্ট,বা অর্ন্তবাসহীন জামা, কিংবা কখনও বিকিনি পরেই স্বামীর খেলা দেখতে চলে আসতেন এই ক্রোয়েট মডেল।

অবশ্য এখন সব অতীত। দ্রেপিচের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই নাইভসের। তবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি এই মডেল। ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দলের প্রত্যেকটি জয় এভাবেই উদযাপন করেছেন নাইভস সেলসিয়াস।