ক্যারিবিয়ানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

বল হাতে সাকিবের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৩৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৬৮ রানে অলআউট সাকিবরা। তাতে ১৬৬ রানের হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন সাকিব আল হাসান।

এর আগে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে এগিয়ে ছিল ক্যারিবীয়রা। ফলে জ্যামাইকা টেস্টে প্রায় তিন দিন হাতে রেখে জয়ের জন্য ৩৩৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

কিন্তু তৃতীয় দিন চা বিরতির আগেই ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে তারা। সাকিবের প্রতিরোধে সেটা কিছুটা সামলে উঠলেও শেষ সেশনে তাদের বাকি ৭ উইকেট তুলে নেয় উইন্ডিজ বোলাররা। লক্ষ্যে নেমে ৭ বল খেলে রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের কাছে এলবিডাব্লিউ হন তিনি।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ৩৮ রানের জুটিতে। কিন্তু তাদের দুজনের বিদায়ে শেষ হয় দ্বিতীয় সেশনের খেলা। লিটন ৩৩ ও মুমিনুল ১৫ রানে আউট হন।

রোস্টন চেজের বলে মুমিনুল এলবিডাব্লিউ হলে চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়ার। দিনের শেষ সেশনে সাকিবকে সঙ্গ দিতে নেমে মাহমুদউল্লাহ ৪ রানে বিদায় নেন। ৬৭ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারালে অধিনায়কের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু ৩১ রানে তাকে বোল্ড করেন হোল্ডার।

স্বাগতিক অধিনায়কের ওই ওভারেই প্রথম বল খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন নুরুল হাসান। মাত্র ১০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ বিদায় নেন। ৭৯ বলে ২৩তম ফিফটি হাঁকানো সাকিব দিন শেষ হওয়ার খানিক আগে বোল্ড হন হোল্ডারের বলে। ৮১ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কামরুল ইসলাম রাব্বি মাত্র ২ বল খেলে হোল্ডারের পঞ্চম শিকার হন। ওই ওভারেই আবু জায়েদ রাহীকে বোল্ড করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়েছিল ১৪৯ রানে।