গোপনে তৃতীয় বিয়ে করায় দ্বিতীয় স্ত্রীর ব্লেডের আঘাতে মোবারক হোসেন নামে স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অবস্থায় আহত স্বামীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে মোবারকের একটি রগ কর্তন যাওয়ায় বিপদমুক্ত রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে।
এসময় স্থানীয় লোকজন ঘাতক কোহিনুরকে (২৮) সহ তার সন্তান ও পিতাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনায় আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রস্তুতি চলছে।
আহত মোবারক হোসেন (৩৫) রায়পুরের দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আবুল ফজলের ছেলে এবং অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার সাকচর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
শুক্রবার রাতে চরবংশী হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ীর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে মোবারক হোসেন কুমিল্লা শহরে একটি হোটেলে চাকুরী করার সুবাধে সেখানেই প্রথম স্ত্রীকে বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাকে তালাক দিয়ে কোহিনুরকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। এর মাঝে নিজ গ্রামে এসে ১৮ দিন আগে একটি কিশোরীকে তৃতীয় বিয়ে করে।
এ ঘটনা জানতে পেরে কোহিনুর সন্তানসহ তার পিতাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মোবারকের বাড়ীতে আসে। রাতেই তাদের উভয়ের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া ও মারধর হয়। এক পর্যায়ে মোবারকের পরিবারের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ শান্ত হয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে কোহিনুর মোবারকের কক্ষে গিয়ে ধাড়ালো ব্লেড দিয়ে আঘাত করে লিঙ্গ কেটে দেয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মোবারককে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম বলেন, আমাকে বিয়ে করার পর বরণ-পোষন তো দেয়ইনি এবং খোঁজ-খবর রাখতো না মোবারক। দুই সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হতো। আমার অনুমতি ছাড়াই তৃতীয় বিয়ে করে। তাই বাধ্য হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছি।
রায়পুর থানার (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ফাঁড়ি থানার অফিসারের মাধ্যমে কোহিনুরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।