হেঁচকি কেন হয় তা এখনো খুব স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে ধারণা করা হয়, আমাদের বুক আর পেটের মাঝখানে মাংসপেশি দিয়ে তৈরি একটি পার্টিশন আছে যা একটি নির্দিষ্ট ছন্দে সংকোচিত ও প্রসারিত হয়, একে ডায়াফ্রাম বলে। যখন কোনো কারণে এই স্বাভাবিক ছন্দ হরিয়ে ডায়াফ্রাম হঠাৎ বেশি সংকোচিত-প্রসারিত হয়, তখনই হেঁচকি উঠে। দ্রুত খেতে চেষ্টা করলে, অনেক গরম ও মসলাদার খাবার খেলে, গরম খাবারের সঙ্গে খুব ঠাণ্ডা পানি বা পানীয় পান করতে শুরু করলে, অনেকক্ষণ ধরে হাসলে বা কাঁদলে হেঁচকি হতে পারে।
বড়দের অবিরত হেঁচকি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন-উদ্বেগ, কিডনির রোগ, শরীরে লবণের ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, ফুসফুসের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়ায় হেঁচকি হতে পারে। আবার মস্তিষ্কের কিছু রোগ যেমন-টিউমার বা ফোড়া, পেটের কিছু রোগ যেমন- অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ, হেপাটাইটিস ইত্যাদিও হেঁচকির কারণ হতে পারে।
সাধারণ কারণে হেঁচকি হলে তা একটু পর এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে শারীরিক সমস্যা ও রোগে অনেক সময় বারবার বা অতিরিক্ত হেঁচকি উঠতে পারে। পর্যাপ্ত পানি খেলেই হেঁচকি কমে যায়। যদি পানি সাথে না থাকে তবে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কুচি গিললে অথবা শুকনো খাবার চিবলে কার্বন ডাই অক্সাইডের চাপ বেড়ে গিয়ে ডায়াফ্রামকে থামিয়ে দেয়। তবে হেঁচকি অসহনীয় ও অনবরত হতে থাকলে ওষুধ বা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতে পারে।