চেহারায় সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা কতকিছুই তো করি। যেমন: ব্রো-প্লাক, থ্রেডিং, আপার লিপ থ্রেডিং ইত্যাদি। তবে অনেক সময় নাকের ছিদ্র থেকে কিছু লোম বেরিয়ে থাকে, যা বিরক্তিকর। এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই আছেন টুইজার বা চিমটা দিয়ে নাকের লোম তুলে ফেলে দেন। এতে আপনার সৌন্দর্য বাড়ে বই কি! তবে এটা হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ। কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
আসুন আজ তাহলে জেনে নেই নাকের লোম তুললে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে এবং কীভাবে? আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা স্থানের লোম বা পশমের আলাদা আলাদা কাজ আছে। ঠিক তেমনি নাকের লোম বা পশম বাহির থেকে সরাসরি আমাদের নাকে ধুলাবালি, তাপ ও বিভিন্ন রোগ-জীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়।
আমাদের মুখে একটি এলাকা আছে। দেখতে ত্রিভূজ আকৃতির। একে বলে মৃত্যুর ত্রিভূজ। এই এরিয়ার মধ্যে অনেক রোমকূপ রয়েছে। এই রোমকূপের সঙ্গে প্রান্তিক এবং শিরা ও উপশিরা সংযুক্ত। এটি সাধারণত অনেক নাজুক ও দুর্বল একটি এরিয়া, যেটা দুই নাসিকার মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। যেটা নাকের দুই চোখের সংযুক্ত স্থান থেকে শুরু হয়ে মুখের কোণে গিয়ে শেষ হয়।
যখন আমরা আমাদের নাক থেকে লোম তুলি তখন রোমকূপের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা প্রান্তিক এবং শিরা ও উপশিরার মারাত্মক ক্ষতি হয়।এছাড়া লোম তুলে ফেলার কারণে রোমকূপ ফাঁকা হয়ে যায়। যেখানে সহজেই বিভিন্ন ধুলাবালি ও ত্বকের ময়লা জমা বিপজ্জনক মাইক্রোব্যাবের সৃষ্টি করে, যা ত্বকের ক্যান্সার হতে সাহায্য করে। এছাড়া যখন ওই রোমকূপে নতুন একটি লোম গজানো শুরু করে তখন সেটা আর ত্বকের বাহিরে আসতে পারে না। তাই ত্বকের লেয়ারের ভেতরে বাহিরে সমানভাবে সমস্যা দেখা দেয়। দেখা দেয় নানা ধরনের ফুসকুরি ও চর্ম রোগের।
তাই নিজে সুস্থ থাকতে এবং নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এখনই নাকের লোম তোলা বন্ধ করুন। আর যদি বেশি সমস্যা হয় বা পশম বেশি বড় হয়ে যায় তাহলে ছোট কাচি বা নোস কাটিং সিজার দিয়ে লোমগুলো কেটে দিন। এতে আপনার ভয়ের কিছু থাকবে না।