পূর্ণিমাকে কাঁদালেন ফেরদৌস, চমকে দিলেন শাকিব

বিশ শতকের শুরুর দিকে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন গ্ল্যামার কন্যা পূর্ণিমা। পেয়েছিলেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। টানা কয়েক বছর বাংলা সিনেমায় অাধিপত্য দেখানোর পর হঠাৎ পর্দার আড়ালে চলে যান। ব্যক্তিগত জীবন ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ নায়িকা।

দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থাকার পর আবারো নিয়মিত হয়েছেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রে নয় নাটক আর উপস্থাপনায় সরব হয়েছেন এ নায়িকা। বড় পর্দায় অভিনয় না করলেও নিয়মিতই নাটক আর উপস্থাপনায় দেখা যাচ্ছে মিষ্টি মুখের এ নায়িকাকে। গতকাল ছিল এ তারকার ৩৭তম জন্মদিন। এদিন কাছের বন্ধু ফেরদৌস কাঁদিয়েছেন পূর্ণিমাকে। অন্যদিকে চমকে দিয়েছেন সহকর্মী শাকিব খান।

পূর্ণিমা-ফেরদৌসের দারুণ বন্ধুত্বের কথা অনেকেরই জানা। দুজন একসঙ্গে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন, একসঙ্গে নাচ করছেন। ভক্তরাও এই জুটিকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। ফেরদৌস আর পূর্ণিমার মধ্যে অনেক বিষয়ে আলোচনাও হয়।

জন্মদিনে চ্যানেল আইয়ের ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেন পূর্ণিমা। অনুষ্ঠানে ফোনে যুক্ত হন ফেরদৌস। তিনি পূর্ণিমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক কথা হলেও এখন পর্যন্ত সামনাসামনি পূর্ণিমাকে একটা কথা বলা হয়নি। আমরা যে নারীশক্তির কথা বলি, পূর্ণিমা তার উদাহরণ। অনেক দিন ধরে সে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে আজকের জায়গা অটুট রেখেছে। আমাদের সবার পূর্ণিমার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক অনেক ভালো থেকো। তোমার শক্তি যেন থাকে কাজের ক্ষেত্রে, পরিবারের ক্ষেত্রে। এই প্রত্যাশা ও দোয়া। অনেক অনেক ভালোবাসা।’

বন্ধু ফেরদৌসের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পূর্ণিমা। তার চোখ ভিজে যায়। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমি সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি। সে আমার এত ভালো একজন বন্ধু, সুখে-দুঃখে সব সময় তাকে পাশে পাই। নানাভাবে আমাকে সহযোগিতা করছে।’ কাছের বন্ধু ফেরদৌস কাঁদানোর পর যে সহকর্মী শাকিবের কাছ থেকে চমক পাবেন সেটি নিশ্চয়ই ভাবতে পারেননি পূর্ণিমা।

ফেরদৌসের পর ফোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাকিব খান। ‘হ্যাপি বার্থডে পূর্ণিমা’ বলতেই কণ্ঠটা চিনতে পারেন পূর্ণিমা। জন্মদিনের আয়োজনে শাকিবের ফোন পেয়েই চমকে যান পূর্ণিমা। গুঞ্জন আছে, শাকিব আর পূর্ণিমার মাঝে তীক্ততা আছে! সচরাচর আড্ডা দিতেও দেখা যায় না তাদের। কিন্তু সেটা ভুল প্রমাণ করলেন দুজন। পর্দার বাইরেও যে শাকিব-পূর্ণিমার মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব, সেটাই ফুটে উঠল দুজনের কথায়।

শাকিবের ফোন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পূর্ণিমা বলেন, ‘এটা আসলেই অন্য ধরনের সারপ্রাইজ হয়ে গেল।’ পূর্ণিমা শাকিবের কাছে জানতে চান, ‘শাকিব, কোথায় তুমি? ঢাকায়, নাকি কলকাতায়?’ শাকিবের উত্তর, ‘আমি ঢাকাতেই আছি। তোমার বার্থডের জন্যই এসেছি।’

এরপর মজা করে পূর্ণিমা বলেন, ‘এবার আমার জন্মদিনের পার্টিটা তুমি দাও।’ হাসি দিয়ে শাকিবও বলেন, ‘তুমি চাইলে অবশ্যই দেব।’ শাকিব আরও বলেন, ‘তোমার জীবন পূর্ণিমার আলোর মতোই আলোকিত হোক। অনেক ভালোবাসা। অনেক দোয়া।’