গাঁজা আর পর্ণের একই ‘অনুভূতি’!

পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি আর গাঁজার নেশা প্রায় একই। কোনও যুবক বা যুবতীর মস্তিষ্কে গাঁজার নেশা যে ভাবে প্রভাব ফেলে, একই রকম প্রভাব ফেলে পর্নোগ্রাফিতে প্রবল আসক্তিও। পর্নোগ্রাফির নেশা নিয়ে একটি সমীক্ষায় এমনই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস-এর চিকিত্‍‌সকরা।

গবেষণায় অংশ নেওয়া এক চিকিৎসক জানান, গত মার্চে তাঁদের কাছে এক ২৩ বছরের যুবককে এসেছিলেন, যিনি গত ৩ বছর ধরে দিনে ৬ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্নোগ্রাফি দেখেন৷ চিকিত্‍‌সা শুরু করার পর ওই যুবক জানান, তাঁর এক সময় গাঁজার নেশা ছিল। সেই নেশা থেকে মুক্তি পেতেই তিনি পর্নোগ্রাফি দেখা শুরু করেন। বস্তুত, পর্নোগ্রাফি দেখার সময় তাঁকে গাঁজার নেশা চেপে ধরত না।

অধ্যাপক মনোবিদ মনোজকুমার শর্মার কথায়, ‘এই কেসটি আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পাই, পর্নোগ্রাফির প্রচণ্ড নেশা ওই যুবকের গাঁজার নেশাকে রুখে দিত৷ অর্থাত্‍‌, পর্নোগ্রাফি তাঁর মস্তিষ্কে যে প্রভাব ফেলছে, গাঁজাও সেই রকমই প্রভাব সৃষ্টি করে।’ একই সঙ্গে ডিজিটাল অ্যাডিকশন বা আসক্তির সঙ্গে গাঁজার আসক্তির এই মিল দেখে রীতিমতো তাজ্জব মনোবিদরা।

কাউন্সেলিংয়ে জানা যায়, ওই যুবককে ছেলেবেলায় যৌননিগ্রহ করেছিল তাঁর এক ভাই। পরিবার চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। সব মিলিয়ে ছেলেবেলার একাকিত্ব থেকে নেশা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা প্রবণতা তাকে পেয়ে বসে। যার নির্যাস, একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীনই তিনি সিগারেট খাওয়া শুরু করেন। কলেজে উঠেই গাঁজায় আসক্ত হন।