নিজের টাকায় বন্ধুকে বিদেশে চিকিৎসা, প্রতিদান ৫ টুকরো করে হত্যা!

প্রবীর ঘোষের মালিকানাধীন ভোলানাথ জুয়েলার্সের পাশেই পিন্টু জুয়েলার্স। পিন্টু জুয়েলার্সের মালিক পিন্টু দেবনাথ ও প্রবীর ঘোষের বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। একে-অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২ বছর আগে পিন্টু দেবনাথ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। একবার হয় স্ট্রোক। এর কিছুদিন পরেই হার্ট অ্যাটাক করেন পিন্টু।

দুবারই পিন্টু দেবনাথের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে দাড়ায়। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যখন পিন্টু, তখন সহায়তার হাত বাড়িয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রবীর ঘোষ ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে যান। সেখানে পিন্টুর ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। বন্ধুর পরিচর্যার দায়িত্ব নেন নিজের কাঁধে। চিকিৎসার ও সংসার চালানোসহ যত খরচ সব কিছু দেন প্রবীর ঘোষ। কখনও বন্ধুকে কষ্ট অনুভব করতে দেননি।

পিন্টু দেবনাথকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য অর্থনৈতিক কোনো কষ্টই বুঝতে দেননি প্রবীর। অথচ সেই বন্ধুই কাল হয়ে দাঁড়ালো। বন্ধুকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করে লাশ ফেলে দেয় সেপটিক ট্যাংকে।

নিখোঁজের ২১ দিন পর সোমবার (৯ জুলাই) রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের টুকরা টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে তার সন্ধান দাবিতে ২১ দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী, নিহতের স্বজন, বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের লোকজন মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আসছিল।

পুলিশ জানায়, টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে পরিকল্পনা করেই প্রবীরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে পিন্টু। পিন্টুর ফ্ল্যাটে প্রবীরকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে লাশ ব্যাগে করে ফেলে দেয়া হয়।