শাশুড়িদের কাছে মিথিলার খোলা চিঠি

সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজেকে নতুনভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন মিথিলা। সংসারের ঝুট-ঝামেলা এখন খুব একটা নেই। নেই কোনো পিছুটান। তাইতো অভিনয় এবং চাকরি- দুটাই সমানভাবে সামলাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি এনজিওতে চাকরি করছেন।

‘আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রজেক্টের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। চাকরির সূত্রে শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়ে উঠেছে তার। কাজ করছেন নাটক-টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনেও। তবে গেল ঈদে ছোট পর্দায় তুলনামূলক খুব বেশি উপস্থিতি ছিলো না তার। কাজ করছেন দেখে শুনে, সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে মানেই করেছেন মনোনিবেশ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই নারী অধিকার ও নারী-পুরুষের সমমযার্দা নিয়েও কাজ করছেন এ অভিনেত্রী।

মিথিলা বিশ্বাস করেন, নারী-পুরুষের সমমযার্দার অনেকখানি নিশ্চিত করতে পারে শুধু নারীরাই। সেই বিশ্বাসেই তিনি শাশুড়িদের প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন সেই চিঠি। এটি বেশ আলোচিত হয়েছে। প্রচুর শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। গোনিউজের পাঠকদের জন্য মিথিলার লেখা খোলা চিঠিটি তুলে ধরা হল….

মিথিলা জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সবার মন জয়ের জন্য একটি মেয়ের প্রাণপণ চেষ্টার গল্প। সেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে নাশতা বানাও, সবার কাপড় পরিষ্কার করো, সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নাও- এগুলোই যেন একজন স্ত্রীর জীবনের নিয়তি।

মিথিলা লিখেছেন, শ্বশুরবাড়িতে একজন বউয়ের এসব ঘটনার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত তিনি। কারণ তিনিও একটি পরিবারে একজন নববধূ হিসেবে আগমন করেছিলেন। তিনি জানেন নতুন আসা সেই মেয়েটির চারপাশ কেমন করে বদলে যেতে থাকে। সেই বদলে যাওয়াটা যেন নেতিবাচক না হয় সে জন্য পুত্রবধূদের পাশে দাঁড়াতে শাশুড়িদের আহ্বান করেছেন তিনি।

তার মতে, একজন নারীকে শ্বশুরবাড়িতে যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে সময় শাশুড়ি ও স্বামীকে পাশে পাওয়া খুব প্রয়োজন। পুত্রকে একজন নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদশর্ন করা শেখাতে পারেন মায়েরাই। সেটা হলেই নারী-পুরুষ সমমযার্দার অনেকখানি এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, শোবিজের বেশ আলোচিত জুটি ছিলেন তাহসান-মিথিলা। তাদের দাম্পত্য জীবনকে সবাই উপমা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সবাই মনে করতেন তাদের মতো সুখী দম্পতি মিডিয়ায় আর কেউ নেই। কিন্তু গেল বছরের অক্টোবরে তাদের বিচ্ছেদের খবর শুনে থমকে যায় মিডিয়া।

ওই বছরের মে মাসে তাদের দীর্ঘ ১১ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটে। বিচ্ছেদের আগে প্রায় দুই বছর ধরে তারা নিজেদের সমস্যাগুলো মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভব না হওয়ায় তারা চূড়ান্ত বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।