ঝুলে যাওয়া স্ত’ন শক্ত করার নতুন পদ্ধতি

স্ত’ন ঢিলে হয়ে যাওয়া এবং ঝুলে যাওয়া কিভাবে কমাবেন? স্ত’ন ঝুলে যাওয়া নানা কারনে হতে পারে, যেমন – অতিরিক্ত ওজন, বয়স এবং সন্তান গর্ভধারন। স্তনের শিথিল হওয়া থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়।

ধাপ ০১: এমন ব্রা পরুন যা আ পনার স্ত’নকে সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ব্রা অবশ্যই আপনার সাথে সাবলীল ভাবে চলতে পারে – অর্থাৎ চলার সময় আপনার ব্রা লেইস যেন কাঁধ থেকে খসে না পড়ে অথবা বন্ধনি অতিরিক্ত টাইট কিংবা অতিরিক্ত লুজ না হয়। যখন ব্রা সাইজ নেবার জন্য মাপতে যাবেন – অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার পুরাতন ব্রা পরনে থাকতে হবে এবং সে অবস্থায় স্তনের ঠিক নিচে মাপ নিচ্ছেন।

ধাপ ০২: ব্রেষ্ট লিপ্ট সার্জারী তথা স্ত’ন উন্নতকরন অস্ত্রোপ্রচারের মাধমে ঝুলে যাওয়া স্তনকে উন্নত করা যায়। ব্রেষ্ট লিপ্ট সার্জারীর জন্য লোকাল এনেস্থেসিয়া করে অস্ত্রপ্রচার করা হয়ে থাকে সাধারনত। এ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ত্বক ফেলে দেয়া হয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে নিফল/ স্ত’ন বোঁটা এর স্থান পরিবর্তন করা হয়। আপনি যদি সন্তানকে স্তনদান করছেন অথবা গর্ভধারন করেছেন, সেই অবস্থায় অস্ত্রপ্রচার করা উচিৎ হবে না।

ধাপ ০৩: নিয়মিত সঠিক ব্যয়াম করলে আপনার পিকটোরিয়াল পেশী সুগঠিত থাকবে, যা আপনার স্ত’ন সুঢৌল থাকার ঐচ্ছ্যিক সমর্থন জোগাবে। ফলমুল এবং তাজা সব্জির সমন্বয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার, কম চর্বিযুক্ত খাবার এবং আঁইশ যুক্ত খাবার আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে যা স্তনের সুন্দর গঠনে ভুমিকা রাখবে। পক্ষান্তরে শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা ( টান টান ভাব) কমে যায় – যা স্তনের ঢিলে ভাব প্রকট করে।

ধাপ ০৪: আপনি যদি ধুমপায়ী (প্রত্যক্ষ/ পরোক্ষ) হন তাহলে তা আজই বর্জন করুন। কারন তামাকের নিকোটিন সরাসরি বার্ধক্যকে প্রভাবিত করে এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে যা শরীরের অন্য অংশের মত স্তনের চামড়াকেও ঢিলে করে দেয় – ফলশ্রুতি, স্তনের ঝুলে পড়বে।