ভাবীর সঙ্গে অভিমান করে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা


ভাবীর সঙ্গে অভিমান করে আক্তার হোসেন নামে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের শ্রীপুরে।
নিহত আক্তার উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের বালিয়াঘাট সড়কপাড়ার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে ভাইদের থেকে আক্তার ছিল চতুর্থ। মঙ্গলবার বিকালে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত আক্তার পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার বালিয়াঘাট সড়কপাড়ার কলেজছাত্র আক্তার সোমবার রাতের খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বড়ভাই রুমানের স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমান করে রাতে না খেয়েই বসতঘরের বারান্দায় শোয়ার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে।

এদিকে বয়োবৃদ্ধা মা হাবিবা বেগম মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ছেলেকে নাশতা খেতে শোয়ার ঘরে ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের অন্যদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বারান্দার আড়ার সঙ্গে গলায় রশি লাগানো আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের সহোদর বড়ভাই রুমান মঙ্গলবার রাতে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আক্তারের অভিমানের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

কী কারণে সে আত্মহত্যা করল এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে রুমান জানান, তাও তাদের পরিবারের কারোই জানা নেই।

তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর মঙ্গলবার রাতে জানান, কলেজছাত্রের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পরিবারের লোকজন সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলেনি। তদন্ত অব্যাহত আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার কারণ হয়তো জানা যাবে।