প্রেম-ভালোবাসা-ব্যক্তিগত তথ্যসহ সাত বিষয়ে মেয়েরা প্রায় সময়েই মিথ্যা বলে থাকেন। নিজের সুবিধার জন্য তারা যে কারও সঙ্গেই মিথ্যা বলে থাকেন। এ ক্ষেত্রে প্রেমিক বা স্বামীকেও ছাড় দেন না।
প্রকৃত বয়স : মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেন নিজেদের বয়স নিয়ে। এ ক্ষেত্রে তারা সবসময় বয়স কিছুটা কমিয়ে বলে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষদের সামনে তারা বয়স লুকোতে দ্বিধা করেন না। যদি বলতেই হয় তা হলে কম বয়স বলেন।
সাবেক প্রেম : মেয়েরা বর্তমান প্রেমিক বা স্বামীর কাছে সাবেক প্রেমিকের ব্যাপারে প্রকৃত সত্য কখনই বলেন না। এটিও সত্য পুরুষরাও তা শুনতে পছন্দ করেন না। এ বিষয়টি অবশ্য পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বলা চলে।
সামাজিকমাধ্যমে মিথ্যা : সামাজিকমাধ্যমে নিজের জীবনের বিষয়ে অযথা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেন অসংখ্য মেয়ে। নিজের যে ব্যক্তিগত বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে না বললেই নয়, সে বিষয়গুলোও অকারণ রং চড়িয়ে পরিবেশন করেন।
অন্য মেয়েদের বিষয়ে : অন্য মেয়েদের ব্যাপারে অনেক মেয়েই নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর পেছনে ঈর্ষা, নিরাপত্তাহীনতা বা হীনমন্যতা কাজ করে।
স্বামীর উপার্জন : মেয়েরা স্বামীর উপার্জন নিয়ে প্রায়ই মিথ্যা বলেন। এ বিষয়ে সবাই স্বামীর আয়ের কথা একটু বাড়িয়ে বলতে পছন্দ করেন।
রূপচর্চার বিষয়ে: নিজেদের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বেশিরভাগ মেয়েই চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেন না। নানারকম ডায়েট, রূপচর্চা, পার্লারে যাওয়া ইত্যাদি চলতেই থাকে। অথচ মেয়েরা নিজেদের রূপচর্চার এই তথ্য কাউকে জানাতে রাজি নন। নিজের আসল সৌন্দর্য টিপসগুলোও মেয়েরা কখনই কাউকে পুরোপুরি জানান না।
ভুল স্বীকারের ক্ষেত্রে : নিজের দোষ বা ভুলের ক্ষেত্রেও মেয়েরা পারদর্শী। বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিকের সামনে মেয়েরা কখনই নিজের দোষ স্বীকার করেন না। বরং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটিই প্রমাণ করতে চান যে অন্য সবাই দোষী বা ভুল বলছে কিন্তু তিনি দোষী নন বা তার কোনো ভুল নেই।