কর্পোরেট চাকরিতে নারীর অগ্রযাত্রায় একটা বড় উন্নতি দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পদে নারীর আসীন হওয়া এখন স্বাভাবিক ব্যাপার। আজ যার কথা বলবো তিনি তানিয়া সুলতানা। টাঙ্গাইলের মেয়ে, বাড়ির সর্বোকনিষ্ট এ নারী বর্তমানে খুবই পরিচিত দেশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকদের মধ্যে। নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন মানবসম্পদ পেশাজীবীদের নানা কার্যক্রমে, তারুণ্যকে জানাচ্ছেন তাদের শক্তির জায়গা সম্পর্কে।
ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী খুবই সংস্কৃতিমনা হওয়ায় শিক্ষাকালীন সময়ে আবৃত্তি, মঞ্চ শ্রুতি নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছেন। স্বামী পেশায় ডেন্টাল সার্জন, তার সাজানো যৌথ পরিবারে দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে গোছানো সংসার। বিয়ের পর স্বামীর অনুপ্রেরণায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়া। আর চাকরিতে যোগদান।
কর্মজীবনের শুরুতে এগ্রো ইন্ড্রাস্টিতে এরপর ট্রেডিং কোম্পানি, গ্রুপ অফ কোম্পানি, বর্তমানে ফ্যাক্টরি অপারেশনে আছি গার্মেন্টস সেক্টরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান পলমলে। তানিয়া জানালেন, ‘বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছি ইচ্ছা আছে অন্যান্য সব সেক্টরে কাজ করার, পড়াশুনা যেহেতু এই মানবসম্পদে তাছাড়া আমি বন্ধুসুলভ। মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ তেমনি বিভিন্ন মানুষের চরিত্র তাদের আচার ব্যবহার বিশেষণ করতে ভালবাসি। এ কারণেই বোধ হয় বর্তমানে একটাই প্যাশন আমার তা মানবসম্পদ।’
বর্তমানে মেয়েরা এ পেশায় ভালো করার সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘প্রকৃতিগত ভাবেই নারীদের মধ্যে বিশেষ কিছু শক্তি আর দক্ষতা আছে যার মাধ্যমে একজন নারী খুব সহজেই সুন্দর সম্পর্ক গঠন, উত্সাহ দান, প্রেরণা জোগানো, নেতৃত্ব দিতে পারে। অন্যদিকে নারীরা যেকোন বিষয়ে বেশি যত্নবান হয়। ফলে যেকোন ধরনের কর্মী, তাদের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা, দ্বন্দ্বের সুষ্ঠু সমাধানে নারীরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পারে। এছাড়াও নারীরা ব্যবস্থাপনা যেমন ভাল তেমনি সহানুভূতিশীল, ভাল মধ্যস্থতাকারী, খুব ভাল শ্রোতা, কৌশলপূর্ণ, ধৈর্যশীল, যা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত জরুরি। এসব মিলিয়েই নারীরা ভালো করছে।