একাদশে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

গত ২ জুলাই থেকে এইচএসসি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। অথচ ভর্তি হওয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী। তৃতীয় দফায় আবেদন করেও ভর্তির জন্য কলেজ না পেয়ে এর সমাধান জানতে অভিভাবকদের নিয়ে এসব শিক্ষার্থীদের অনেকে এখন ছুটছেন শিক্ষা বোর্ডে।

এদিকে, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, কাগজে-কলমে গত জুন মাসে এইচএসসি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনও তা শেষ না হওয়ায় এখন চতুর্থ দফায় ভর্তিতে আবারও ১০ জুলাই নতুন করে আবেদন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। রোববার আন্তঃশিক্ষা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ৩টি ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখনও যারা ভর্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে, তাদের আগামী ১০ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত নতুন করে আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এখনও যারা আবেদন করেও ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি বা আবেদন করেনি, তারা এ ধাপে আবেদন করতে পারবে। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ ধাপে সকল শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে।

তিনি আরোও বলেন, সারাদেশে এখনও পর্যাপ্ত আসন রয়েছে, তাই ভর্তি থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। মেধা অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থীকে যোগ্য স্থানে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে।

বোর্ড সূত্র জানাগেছে , তিন ধাপের ভর্তির তালিকা প্রকাশের পর এপর্যন্ত সাধারণ আট বোর্ডের অধীনে একাদশ শ্রেণির সাড়ে ১১ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাস করেন। এর মধ্যে ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬১ জন কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেন, বাকিরা আবেদনই করতে পারেননি। আবেদনকারীদের মধ্যে তিন ধাপে মোট ১২ লাখ ২৮ হাজার ১৫ জনকে ভর্তি জন্য মনোনীত করা হয়।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির বাইরে রয়েছেন। আবেদন করেও এখনও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী কোনও কলেজে ভর্তির জন্য মনোনয়ন পাননি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া প্রায় একহাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন।

গত সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভিড় করছেন শত শত ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। এসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, তারা ভালো ফলাফল করেছেন, ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনও করেছেন; অথচ মেধা তালিকায় তাদের নাম এবং কলেজের নাম আসেনি। কেউ কেউ কয়েক দফায় আবেদন করেও ভর্তির জন্য মনোনয়ন পাননি।