কে চালাবে রানী সরকারের ৭ সদস্যের সংসার?

চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রানী সরকার। বার্ধ্যক্যের কারণেই তাঁর এমন প্রয়াণ। দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগ শোকে ভুগছিলেন রানী সরকার। জীবনের শেষ সময়টুকুতে সবচেয়ে বড় দু:চিন্তা ছিল তাঁর পরিবার।

মরার পর নিজের পরিবারের কী হবে, কে চালাবে ছয়, সাত জনের সংসার এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কাটাতেন প্রতিনিয়ত। জীবনের শেষদিনগুলোর সাক্ষাৎকারে বারংবার কথাগুলো বলেছেন।

হয়তো রানী সরকার জানতেন, তার মৃত্যু ঘনায়মান। তাইতো মরার পর তার পরিবারের কি হবে এটা নিয়ে আগে থেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, সিনেমার জন্য জীবনটা ব্যয় করেছি। বিয়েও করিনি। আজ আমার দেখার মানুষ নেই। আমি মরার পর আমার পরিবার কে দেখবে জানি না, তবে মরার আগে ওদের ঠিকমত চালাতে চাই, তাও পারছি না।

তাঁর আপন বলতে কেউ নেই। তবে বোনের ও ভাইয়ের পরিবারও এই বৃদ্ধ বয়সে তিনি দেখাশুনা করতেন। নিজের আয় করা অর্থ তাদের পেছনে খরচ করতেন।

জীবন সায়াহ্নে এসে প্রবীণ এই অভিনেত্রী নিজের অসচ্ছলতার কথাও জানিয়েছিলেন সবাইকে। আকুতি করে বলেছেন, চারদিন ধরে ঘরে চাউল ছাড়া খাবার নেই। লবণ-পানি দিয়ে চটকিয়ে ভাত খেতে আর ভালো লাগেনা। এমনভাবে আর কতদিন বেচে থাকা যায়। আমাকে বাঁচান।

তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০ লাখ টাকা সাহায্য প্রদান করেন। সেখান থেকে ১৩ হাজার টাকা প্রতিমাসে ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি বলতেন,‘ ম্যাডাম শেখ হাসিনা যদি আমাকে সাহায্য না করতেন এতদিন কোন সাগরে হারিয়ে যেতাম তার ঠিক নেই। আল্লাহর ইচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রীর ওছিলায় আমি আজ বেঁচে আছি ‘

রানী সরকারের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামে। সেখানে ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। সেটা দেখাশোনা করেন তার ভাতিজা। রানী সরকারের তিন ভাইবোন। বড়ভাই আগেই মারা গেছেন।