আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মামা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের প্রলোভনে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে নুরুজ্জামান (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। নুরুজ্জামান ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর দুঃসম্পর্কের মামা।

গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) এ ঘটনায় হাতীবান্ধায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা।

অভিযুক্ত নুরুজ্জামান হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাচারি এলাকার বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

গতকাল সোমবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানাগেছে, নুরুজ্জামান ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর দুঃসম্পর্কের মামা। স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে নুরুজ্জামান। ওই ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরমপূরণ করেছে। সেই লক্ষ্যে ঠিকঠাক পড়াশোনাও করছিল সে। কিন্তু চলতি মাসের ২ তারিখে নুরুজ্জামান ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানায়, গত বছরের ২১ নভেম্বর নুরুজ্জামান তাকে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নুরুজ্জামান। এরপর একাধিকবার তাকে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু কিছুদিন থেকে বিয়ের চাপ দেয়ার কারণে নুরুজ্জামানের সুর পাল্টে ফেলে।

মেয়েটির মা জানায়, নুরুজ্জাোনকে আমি ভাই হিসেবে মানতাম। কিন্তু সেই নুরুজ্জামানই আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

মেয়েটির বাবা বলেন, নুরুজ্জামান আওয়ামী লীগের নেতা। তার কাছে আমরা অসহায়। এরপরেও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় রবিবার রাতে হাতীবান্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, মামলা গ্রহণের পর থেকেই নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি যেসব বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।