এ জেন এক অন্য মেসি, এই ছোট্ট গল্পটি পড়ে কেউ কাঁদবেন না প্লিজ!

ফোর্বস ম্যাগাজিন গত বছর পৃথিবীর সেরা ৫০ জন দাতার তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই তালিকার অন্যতম একজন হচ্ছেন আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ফোর্বস বলছে, লিওনেল মেসির বার্ষিক আয় ৭৪০ কোটি টাকা।

এর ২৫ ভাগই তিনি দান করে দেন দাতব্য সংস্থা ইউনিসেফকে! বাকি ৭৫ ভাগের চল্লিশ ভাগ যায় অন্যান্য দাতব্য তহবিলে। ‘সিএনএন’ জানিয়েছে- মেসি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করা খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয়। সারা বিশ্বে এই ভদ্রলোকের টাকায় ১৮৯টি দেশে তৈরি হয়েছে সাড়ে আট হাজারের বেশি স্কুল!

এছাড়া সারা পৃথিবীর চার কোটি শিশুর স্কুলের যাবতীয় খরচ দিয়ে তিনি থাকেন। গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ১৬০০ বাচ্চার জন্য ২০টি ক্লাসরুম উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আবার গত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়ার পুরো টাকাটাই তিনি দিয়েছেন আর্জেন্টিনার একটা হাসপাতালকে!

ইসরাইলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেই সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পেয়ে যেতেন লিওনেল মেসি! তবে টাকা নয়, আত্মসম্মান ও মানবতাকেই বড় করে দেখলেন মেসিরা। তাই কাড়ি কাড়ি টাকা প্রাপ্তির নিশ্চিত সুযোগ হাতছাড়া করে দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে দিয়ে ম্যাচটা বাতিলই করালেন মেসি!

এমনকি ইরায়েল যখন ফিলিস্তিনের শিশুদের ওপরে হামলা করছিল তখনো তিনি বলেছিলেন- আমি ঘৃণা করি সেই লোকেদের যারা নিরীহ বাচ্চাদের ওপর হামলা করার নাম দিয়েছে যুদ্ধ!

পৃথিবীর সবচেয়ে হার্টথ্রব স্পোর্টস জার্নাল ‘প্লেবয় ম্যাগাজিন’ লিখেছিল- মেসি এই গ্রহের খেলোয়াড় না, মেসি ভিনগ্রহের! তখন অনেকেই খুব হেসেছিলেন। কারণ আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো এক ম্যাচ ভালো না খেললেই, গোল করতে না পারলেই সহজেই বলে দেওয়া যায়- এই খেলে ভিনগ্রহের খেলোয়াড়!

কীভাবে? ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজিন আসলে ঠিকই লিখেছিল। কারণ এই গ্রহে থেকেও গ্রহের মানুষদের খবর রাখে কয়জন? টাকা থাকলেই দেয় কয়জন? আমাদের অসংখ্য মন্ত্রী এমপি আছেন যাদের জন্য আমাদের মাথা কাটা যায়। যারা দেশের কোটি টাকা মেরে দিয়ে সুইস ব্যাংকে জমিয়েছেন। সাধারণ কৃষক শ্রমিকের টাকা পর্যন্ত মেরে দিয়ে জীবনযাপন করছেন বিলাসের সাগরে।

মেসির মতো অসাধারণ মানুষটিকে ভালোবাসার কারণ তার মোহনীয় ফুটবল খেলা নয়। তিনি ভালোবাসা অর্জন করে নিয়েছেন নিজ গুণে। মানবিকতায় যিনি এতো অনন্য, ভালো ফুটবল না খেললেও তাঁর যায় আসে না! মানবিকতার কাছে ফুটবল খুবই তুচ্ছ বিষয়।