মা, ভাই ও খালা সব কটারে শেষ করে দিলাম

সারাদেশে প্রতিনিয়ত খুনের ঘটনা ঘটছে ।খুনের ঘটনাগুলো দেখা যায় সাধারণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। তবে এবার ভয়ংকর একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে পাবনায়।জানা গেছে ভোর রাতে শাশুড়ির গোঙানীর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় রুনার। চোখ খুলে দেখেন স্বামী তুহিন পাশে নেই। দরজা খুলে বাইরে যেতেই দেখেন উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় শাশুড়ি, ছোট দেবর ও খালা শাশুড়ির মরদেহ পড়ে আছে। পাশে ধারালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা আমার স্বামী আমাকে দেখেই বলে ওঠে, মা, ভাই ও খালা সব কটারে শেষ করে দিলাম। আমি ভয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই।

বুধবার পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেংগা সোনাপদ্ম গ্রামে ঘুমন্ত মা, ভাই ও খালাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার এ বিবরণ দেন প্রত্যক্ষদর্শী তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন। নিহতরা হলেন- বুলি বেগম (৪০) একই এলাকার মিঠু শেখের স্ত্রী, ছোটভাই তুষার (১০) ও খালা মরিয়ম খাতুন (৫০)। মরিয়ম একই গ্রামের আবু বকরের স্ত্রী। ।

বেড়া মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হেসেন জানান, তুহিনের মা, ছোট ভাই এবং খালা একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। তুহিন ও তার স্ত্রী পাশের ঘরে ছিলেন। তুহিনের বাবা খুলনায় শ্রমিকের কাজ করেন এবং ঘটনার রাতে তিনি খুলনাতেই ছিলেন।

বুধবার ভোর ৪টার দিকে তুহিন একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মায়ের ঘরে ঢুকে এবং মা, খালা ও ছোট ভাইকে ঘুম থেকে টেনে তুলে বারান্দায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তুহিনের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও তাড়িয়ে দেন। হত্যার পর পরই ঘাতক তুহিন পালিয়ে যান।

পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তুহিন দুই মাস ধরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগছিলেন। এ ছাড়া পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

এমন হত্যাকান্ডের ব্যপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘাতক তুহিনকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতদের মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।এরি মধ্যে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।আসা করছি অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ।