‘ডোলা মাতা’র মন্দির, রয়েছে গুজরাতের আমদাবাদের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম ঝুলাসানে। শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই হিন্দু। কিন্তু এই মন্দিরে যে মানবী পূজিতা হন দেবী রূপে, তিনি ছিলেন একজন মুসলমান।
ভাবছেন, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এমনটা হল কী করে!
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে, প্রায় ২৫০ বছর আগে, ঝুলাসানের ওই মহিলা গ্রাম রক্ষা করতে যুদ্ধ করেছিলেন অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে। গ্রাম ও বাসিন্দারা রক্ষা পেলেও, লুঠতরাজকরতে আসা লোকদের হাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পরে মহিলার মরদেহ একটি ফুলে রূপান্তরিত হয়। এবং ওই স্থানেই একটি মন্দির উঠে আসে মাটি থেকে।
সত্যি-মিথ্যের তর্ক ছাপিয়ে এখানে বিশ্বাসই জায়গা করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দীনেশ রাওয়াল। যিনি এক সময়ে ছিলেন আমদাবাদের মিউনিসিপাল স্কুলের চেয়ারম্যান। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথপোকথনের সময়ে দীনেশ রাওয়াল আরও বলেন যে, ডোলা দেবীর আসল নাম কেউই জানে না। কিন্তু, গ্রামের সকলেই বিশ্বাস করেন, যে কোনও সংকটেই তিনি সকলকে রক্ষা করবেন।