নেইমারের জাদুতে শেষ আটে ব্রাজিল

প্রথমার্ধে গোলশূন্য স্কোর থাকলেও বিরতির পরই গোলের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল। নেইমারের গোলে এগিয়ে গেছে তারা। ৫১ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। তারপর দ্বিতীয় গোলেও তার অবদান। ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ব্রাজিল।

দুই গোলরক্ষকের পরীক্ষায় শুরু হয় সামার অ্যারেনার লড়াই। ২ মিনিটে গুয়ার্দাদোর ক্রস অ্যালিসন পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেন। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে আসা বলে লোসানো হাফ ভলি নেন, মিরান্দা করেন ব্লক। ৫ মিনিটে রাফা মারকেসের ভুল পাসে বল পান নেইমার। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার শট কাসেমিরো লক্ষ্যে পাঠানোর আগে মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়া সেভ করেন। যদিও বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। দুই মিনিট পর নেইমারের ফ্রি কিক বক্স থেকে বিপদমুক্ত করেন আলভারেস।

তারপর থেকে বেশ কিছুক্ষণ মেক্সিকোর আক্রমণভাগ রুখতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডাররা। ১৫ মিনিটে ডান দিক থেকে লোসানোর লম্বা ক্রস বক্সের মধ্যে ঢোকে। কিন্তু বলের গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি হাভিয়ের এর্নেন্দেস, পায়ে নিতে পারেননি বল। ২২ মিনিটে কার্লোস ভেলার পাসে বল জায়গা করে নেয় বক্সে এক্তর এরেরার পায়ে। তার বাঁ পায়ের প্রথম শট এবার ব্লক করেন লুইস।

ব্রাজিল সুবর্ণ সুযোগ পায় ২৫ মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে নেইমার দ্রুত আলভারেস ও আয়ালাকে পেছনে ফেলে গোলপোস্টের সামনে ঢুকে যান। তার কোনাকুনি নিচু শট বাঁ হাত দিয়ে প্রতিহত করেন ওচোয়া। ২৬ মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিক বিপদমুক্ত করতে পারেননি মেক্সিকান ডিফেন্ডাররা। তবে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের হাফ ভলি ঠিক রুখে দেয় তাদের রক্ষণভাগ। ১৮ গজ দূর থেকে নেওয়া পাউলিনিয়োর ফিরতি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

৩২ মিনিটে ফিলিপে কৌতিনিয়োর বাড়ানো বলে বাঁ দিক থেকে লক্ষ্যে নিখুঁত শট নেন জেসুস। কিন্তু ওচোয়া দারুণ দক্ষতায় তাকে ব্যর্থ করে দেন। পাউলিনিয়ো ফিরতি শট নেওয়ার আগে আয়ালা বল বিপদজ্জনক জায়গা থেকে ফিরিয়ে দেন। প্রথমার্ধে লক্ষ্যে তিনটি শট নিয়েও ওচোয়া বীরত্বে গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। গোলশূন্য স্কোরে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আবারও ওচোয়ার দুর্দান্ত সেভে ব্রাজিল গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয়। ৪৮ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে কৌতিনিয়ো বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ১২ গজ দূর থেকে শক্তিশালী শট নেন। মেক্সিকোর গোলরক্ষক লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন বার্সেলোনার তারকাকে।

দুই মিনিট পর গায়ার্দো একাই মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন। কিন্তু ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় মেক্সিকোর প্রচেষ্টা। পরের মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। মেক্সিকোর ডিফেন্ডারদের ভড়কে দিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে বল বাড়িয়ে দেন গোলমুখের সামনে। জেসুস পায়ে বল লাগাতে না পারলেও ব্যাকপোস্ট থেকে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।

৫৬ মিনিটে ডান দিক থেকে পিএসজি স্ট্রাইকারের শক্তিশালী শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। তিন মিনিট পর পাউলিনিয়োর একটি শট ঠেকিয়ে ওচোয়া মেক্সিকোকে ম্যাচে রাখেন। ৬২ মিনিটে ভেলার চমৎকার বাঁকানো শট গোলবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। পরের মিনিটে ওচোয়া ঠেকিয়ে দেন উইলিয়ানের লক্ষ্যে নেওয়া শট।

গুয়ার্দাদোর চেষ্টা ৬৯ মিনিটে ব্লক করে মাটি করে দেন থিয়াগো সিলভা। ৮৮ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান ফিরমিনো। ৮৬ মিনিটে কৌতিনিয়োর বদলি নামার ২ মিনিট পরই দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিভারপুল তারকা।