সাদাস্রাব কি! সাদা স্রাব কেন হয়? সাদাস্রাবের প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা

চিকিৎসকের কাছে গেলে অন্য সমস্যার পাশাপাশি তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বলে থাকেন এবং সে সঙ্গে এও বলেন যে এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। এ কারণে তারা মানসিকভাবেও উৎকণ্ঠিত থাকেন।

দেশের গ্রামগঞ্জ—হাটবাজারে এ সংক্রান্ত ছোট ছোট সাইনবোর্ড এবং বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিষয়টিকে আরও উসকে দেয়। সাদাস্রাবকে অনেকে ধাতু বলে থাকেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে।

স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া মেয়েদের যোনিপথে এক ধরনের পিচ্ছিল রস তৈরি হয়। মুখের লালা, চোখের পানি ইত্যাদি যেমন স্বাভাবিক, যোনিরসও তেমনি একটি ব্যাপার। এটি যোনিপথের কোষের স্বাভাবিকতা রক্ষা করে, যৌনমিলনের সময় লুব্রিকেসনের কাজ করে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ রসের পরিমাণ মানুষভেদে ও বয়সভেদে কম—বেশি হতে পারে।

যেমন মাসিক শুরুর আগের বয়সে এবং মনোপজের পর যোনিরস খুব অল্প নিঃসৃত হয়। আবার সম্যক ধারণার অভাবে স্বাভাবিক পরিমাণ রসকে অনেকের কাছে অতিরিক্ত সাদাস্রাব মনে হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, যখন যোনিরস বেশি নিঃসৃত হয়ে লজ্জাস্থানে ভেজা ভেজা ভাব হয়, পরনের কাপড়ে হলদেটে দাগ পড়ে তখনই কেবল সেটাকে সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া বলে। স্বাভাবিক পরিমাণ যোনিরস লিউকোরিয়া নয়। স্বাভাবিক স্রাবের সঙ্গে স্বাস্থ্যহানির বৈজ্ঞানিক কোনো সম্পর্ক নেই।

সাদাস্রাব কখন হয়!
মেয়েদের বিশেষ কতগুলো সময় আছে যখন যোনিরসের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। যেমন যৌনমিলনের সময়, মাসিক শুরুর ঠিক আগের দিনগুলোয়, ওভ্যলেশনের (ডিম্বস্ফোটন) সময়, গর্ভাবস্থায়, ডেলিভারির পর বেশ কিছুদিন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারকালে ইত্যাদি।

অনেকে এমন খুঁতখুঁতে আছেন যে স্বাভাবিক জৈবিক গন্ধকে দূর করার জন্য নিয়মিত স্যাভলন—পানি বা কেউ ডিওডোরান্ট স্প্রে ব্যবহার করেন। এ অভ্যাস ক্ষতিকর। এর ফলে কেমিক্যাল রি-অ্যাকশন হয়ে অঙ্গের ক্ষতি হয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণকে উৎসাহিত করে।

কখন বোঝা যাবে যে অসুস্থতার কারণেই সাদাস্রাব বেশি হচ্ছে?

যদি উপরিউক্ত সময় ছাড়াও অতিরিক্ত স্রাব নিঃসৃত হয়, চুলকানী হয়, ভীষণ দুর্ঘন্ধ হয়, সঙ্গে রক্ত কিংবা পুঁজ থাকে, তলপেটে ব্যথা থাকে, জ্বর থাকে। অস্বাভাবিক স্রাবের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ইনফেকশন, পলিপ, ক্যানসার ইত্যাদি।

সঠিক তথ্য জানার পর প্রচলিত ধ্যান—ধারণাকে পেছনে ফেলে স্বাভাবিক স্রাবকে যেমন সহজভাবে গ্রহণ করা দরকার, তেমনি অস্বাভাবিক স্রাব হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও জরুরী।

আপনার সাদাস্রাব সমস্যায় ডাক্তারের সাহায্য, পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে যোগাযোগ করুন প্রাকৃতিক ওষুধ ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনিরুজ্জামান এম ডি স্যারের সাথে।সাদাস্রাবের চিকিৎসা, সাহায্য ও পরামর্শ পেতে নির্দ্বিধায় কথা বলুন >> 01618886954