প্রিয় দল ব্রাজিলের জয়ের উচ্ছ্বাসে মর্মান্তিক মৃত্যু!

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট দিতেন তিনি, গত মে মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ ৩১ তারিখে নিজের ফেসবুকে ড্রাইভিংয়ের সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু তারই মৃত্যু হল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। তিনি ব্রাজিলের ৩০ বছর বয়েসী যুবতী মাইওচি।
মাইওচি

ব্রাজিলের সাওপাওলোর ইটাটিবা শহরে নিজের বাড়িতে বিশ্বকাপে দেশের খেলা দেখছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই। সেই সঙ্গে চলছিল মদ্যপানও। সার্বিয়ার সঙ্গে তখন মাঠে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কারণ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল কোস্তারিকার সঙ্গে। ম্যাচের একবারে শেষ দিকে গোল করে জিতেছিল ব্রাজিল। অতএব শেষ ম্যাচে গ্রুপ পর্যায়ের বাঁধা কাটাতে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দরকার ছিল ড্রয়ের। তবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রাধান্য রেখে ২ গোলে জয় পায় ব্রাজিল। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে মদ্যপান করতে করতে খেলা দেখছিলেন ওই বছর ৩০ এর যুবতী। মদ্যপানের গ্লাসটি রেখেছিলেন সেন্টার টেবিলেই। দ্বিতীয় গোলের পর মাঠে যখন নেইমাররা সেলিব্রেশনে মত্ত, ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত তখনই আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন মাইওচি লাফিয়ে ওঠেন আনন্দে।

কিন্তু লাফানোর ফলে ভার সামলাতে পারেননি নিজের। পড়ে যান সেন্টার টেবিলের উপর উপুর হয়ে। ওয়াইন গ্লাসের টুকরো ঢুকে যায় গলায়। খন্ড খন্ড হয়ে যাওয়া গ্লাসটির কাঁচের টুকরো কাঁধের কাছে ঢুকে ছিঁড়ে দেয় জাগুলার শিরা। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বন্ধ করতে বন্ধুরা তোয়ালে জড়িয়ে রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করে আপাতকালীন জরুরী ভিত্তিতে খবর দেন চিকিৎসকদের। কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে গিয়েছে। আগেই মারা যান মাইওচি।

ইটাটিবা শহরের পুলিশ প্রধান এই গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই জয়ের মধ্যেও তাই শোকের ছাড়া ব্রাজিল জুড়ে। ব্রাজিলের পরের ম্যাচ মেক্সিকোর সঙ্গে আগামি সোমবার। কিন্তু দলের জয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গী হতে গিয়ে এই তরুণীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা ফুটবল দেশ।