সঞ্জু’ ছবি দিয়ে ফের বড় পর্দায় ফিরছেন মণীষা কৈরালা। ছবিতে সঞ্জয়ের মা নার্গিস দত্তের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। বাস্তব জীবনে একা জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। ২০১০ সালে নেপালী ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই বছরই ক্যান্সার ধরা পড়ে মণীষার। দীর্ঘ চিকিৎসার পর পুরোপুরি সেরে উঠেছেন তিনি। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন অভিনয় নিয়ে।
ডিভোর্সের পরে কখনও কি তিক্ততা গ্রাস করেছে জানতে চাইলে মণীষা বলেন, একা থাকাটাকে উপভোগ করছি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি, কাজ মানুষকে সব সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। তাই পরপর ছবি করছি। আমি এই মুহূর্তে জীবনকে দারুণ উপভোগ করছি। কোনও তিক্ততা নেই। যারা আমাকে পায়নি, সেটা তাদের অপ্রাপ্তি। আমার প্রথম ভালবাসা আমার কাজ। শেষ ভালবাসা কি না, তা অবশ্য বলতে পারব না।
নার্গিস দত্তর চরিত্রে কাজ করা নিয়ে তিনি বলেন, চরিত্রটার প্রস্তাব পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম। তবে পরের মুহূর্তেই উপলব্ধি করি, কাজটা কত কঠিন! নার্গিস জির কিছু ছবি, ওঁর উপর তৈরি হওয়া তথ্যচিত্র দেখেছি। প্রিয়াজির (সঞ্জয়ের বোন) সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। যখন উনি শুনেছিলেন, আমি এই চরিত্রটা করছি, অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন আমাকে। উনি নার্গিসজিকে নিয়ে একটা বই লিখেছিলেন। সেটা আমাকে পড়তে দিয়েছিলেন। বাবার (সঞ্জয় দত্ত) সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাইনি। নার্গিস জির হাঁটাচলা, চাহনি, হাসি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন ছিল।
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই নিয়ে তিনি বলেন, আমার পরিবার, বিশেষ করে মা প্রতি পদক্ষেপে আমাকে সাহায্য করেছেন। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতাম, কান্নাকাটি করতাম। নিউ ইয়র্কে যখন চিকিৎসার জন্য ছিলাম, নিজের চোখে দেখেছি সকলে কত একলা! হতাশ হয়ে বসে থাকত। মনে মনে ঠিক করেছিলাম, নিজেকে এ ভাবে শেষ করব না। যদি মরতেই হয়, সাহসের সঙ্গে লড়াই করব। হাল ছাড়িনি। তাই হয়তো এই লড়াইয়ে জিততে পারলাম।