সেনা মেজর অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজার হত্যাকাণ্ড ঘিরে ক্রমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে আসছে। এই হত্যায় অভিযুক্ত মেজর নিখিল হান্ডাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তা করেছে ভারতের পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে একাধিক তথ্য।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, শৈলজাকে বিয়ে করতে চেয়ে ছিলেন মেজর নিখিল হান্ডা। কিন্তু শৈলজা বিয়ের সম্পর্কে রাজি না হওয়াতেই এই হত্যাকাণ্ড। এই সম্পর্কের আড়ালে রয়ে গিয়েছে আরও বেশ কিছু তথ্য। পুলিশি তদন্তে পরতে পরতে খুলছে সম্পর্ক ঘিরে চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটনার মোড়ক।
জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে ৩,৩০০ টি ফোন কল মেজর নিখিল হন্ডা করেছিলেন শৈলজাকে। শৈলজার মোবাইলে মেজর হান্ডার ১৫০০ টি টেক্স মেসেজ আসে। ২০১৭ সালের মিসেস ইন্ডিয়া আর্থের প্রতিযোগী শৈলজার প্রেমে প্রথম দর্শন থেকেই কাবু ছিলেন মেজর নিখিল। মেজর নিখিল ও তাঁর সহকর্মী মেজর অমিত দ্বিবেদী নাগাল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন।
সেই সময়ে অমিতের স্ত্রী শেলজার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় নিখিলের। শৈলজা নিখিলের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে গড়াতে থাকে আরও বেশি গভীরতায়। একটা সময়ে দুজনের ভিডিও কল শুরু হয়। ভিডিও কলে আপত্তিকর দৃশ্যে স্ত্রী শৈলজাকে দেখে ফেলেন মেজর অমিত দ্বিবেদী।
পরকীয় সম্পর্ক টের পেয়েই অমিত শৈলজাকে জানান বন্ধ করতে হবে এই কথাবর্তা। নিখিলের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মেজর অমিত দ্বিবেদী। যদিও এরপরও নিখিল-শৈলজা সম্পর্ক থেমে থাকেনি। হত্যাকাণ্ডের আগের রাতেও নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এই সম্পর্ক ঘিরে প্রবল বচসায় জড়ান মেজর নিখিল।
উল্লেখ্য, শনিবার শৈলজা হত্যাকাণ্ডের দিন, শৈলজাকে নিয়ে মেজর নিখিল গাড়িতে ওঠেন, সেখানে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গেলে শৈলজা তা প্রত্যাখ্যান করায় শৈলজার গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করেন মেজর হান্ডা। গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দেন শৈলজার মৃতদেহ। আর তারপর মৃতদেহের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেন ওই গাড়িটি।