ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর হামলার আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। দেশটির সব রাজ্যের কাছে পাঠানো বিশেষ বার্তায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার আশঙ্কা ‘চরম পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। এজন্য তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়মের অধীনে, কোন ব্যক্তিই, এমনকি মন্ত্রীরাও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ছাড়পত্র ছাড়া মোদির কাছে যেতে পারবেন না। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
খবরে বলা হয়, এক গোপন চিঠির মাধ্যমে মোদির ওপর এই নতুন হুমকির খবর পেয়েছে ‘পুনে’ পুলিশ। এরপরই মোদির সুরক্ষা বলয় আরও জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা এসপিজি-র ছাড়পত্র না মিললে, মোদির ধারে কাছে সরকারি কর্মকর্তারাতো তো বটেই, মন্ত্রীরাও তার কাছে যেতে পারবেন না।
‘অজানা হুমকি’ থাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইছে, রোড শো থেকে মোদীকে দূরে রাখতে
কিন্তু এই হামলার আশঙ্কা কাদের কাছ থেকে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হুমকি কাদের কাছ থেকে আসছে তা অজানা।
তবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থাকে বলেছে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘টার্গেট’ করা হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনডিটিভি’কে বলেন, হুমকিটা সবসময়ই ছিল। তবে এই মাওবাদী হুমকি পাওয়ার পর আমরা প্রত্যেক সংস্থাকে সকল নতুন হুমকির বিষয়ে অবগত করেছি।
উল্লেখ্য, প্রাপ্য চিঠি অনুসারে, পুনে’তে এক মোদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধির মত হত্যা করার পরিকল্পনা চেষ্টা চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। এই মাসের শুরুর দিকে, মোদীর উপর হামলার ছকের কথা দিল্লিতে থাকা সক্রিয় দলিত কর্মী রোনা উইলসনের বাড়ি থেকে পাওয়া গোপন এক চিঠি থেকে জানা গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, দেশের ১৫ টি রাজ্যে বিজেপি ভালই সরকার চালাচ্ছে। যদি ওরা এভাবে এগোয়, তা হলে আমাদের পক্ষে বিপদের কারণ হয়ে উঠবে। তাই মোদী যুগের অবসান ঘটানো দরকার। এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।