দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে রাস্তার ধারে উদ্ধার হল মেজরের স্ত্রীর দেহ। শনিবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ঠোঁট টুকরো টুকরো করে খুন করা হয়েছে ।
খুন করার পর একাধিকবার তাকে গাড়ি দিয়ে পিষে দেয়া হয়। মেজরপত্নী শৈলজা দ্বিবেদীর (৩০) খুনের ঘটনায় জড়িত আরেক মেজর নিখিল হান্ডাকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শৈলজার সংসারে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীর নাম মেজর অমিত দ্বিবেদী। খবর এনডিটিভির।
মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বলছে পরিকল্পিত খুন। ফিজিওথেরাপির জন্য সেনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন শৈলজা। সকাল ১০টায় বের হন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মেজর অমিত দ্বিবেদী। দুপুর দেড়টা নাগাদ এক পথচারী ব্রার স্কোয়ারের কাছে মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর শৈলজার দেহ শনাক্ত করা হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে গেলেও ফিজিওথেরাপির জন্য যাননি শৈলজা। অন্য গাড়িতে করে অন্যত্র গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে করেই তাকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। মাথায় আঘাত করে প্রথমে তাকে খুন করা হয় বলে অনুমান। পরে ধারালো বস্তু দিয়ে তাকে গলা কেটে খুন করা হয়। দুর্ঘটনা বোঝাতে বেশ কয়েকবার গাড়িতে পিষে দেয়া হয় দেহ।