পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘পপ কিং’ মাইকেল জ্যাকসনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। কিংবদন্তি এ শিল্পী ২০০৯ সালের এ দিনে লসঅ্যাঞ্জেলেসে তার নিজ বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার আকস্মিক মৃত্যু পুরো বিশ্বকে নাড়া দেয়। মাইকেল জ্যাকসনকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সফল সেলিব্রেটি। পপ সাম্রাজ্যের বাদশাহ খ্যাত মাইকেল জ্যাকসন গান, নাচ ও ফ্যাশনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট ইন্ডিয়ানার গ্যারিতে এক বর্ধিষ্ণু কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারে জন্ম তার। মাইকেলের বাবার নাম জোসেফ ওয়াল্টার জ্যাকসন। জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল একজন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক ছিলেন। চার ভাইকে সাথে নিয়ে মাত্র ৬ বছর বয়সে পেশাদার জগতে পা রাখেন তিনি। এককভাবে কাজ করেন ৭১ সালে।

তবে বিশ্বজুড়ে উন্মাদনা ছড়ান আরো এগারো বছর পর। ১৯৮২ সালে তার থ্রিলার অ্যালবাম ভেঙে দেয় পৃথিবীর সব রেকর্ড। অলটাইম হিটসের তালিকায় আছে – অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)।

সর্বকালের সবচেয়ে সফল বিনোদন তারকা হিসেবে গিনেস বুকেও জায়গা পেয়েছেন তিনি। তাকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তার গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

মাইকেল জ্যাকসন দুবার ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম’ নির্বাচিত হন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী। তার ঝুড়িতে ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি নাম্বার ওয়ান সিঙ্গেল এবং ৭৫ কোটি অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা ও ব্যবসায়ী। নয় বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে গেলেও তিনি বেঁচে আছেন অগণিত ভক্তের হৃদয়ে।