আজ পানামার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড

নিজনি নোভগ্রোদে আজ রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পানামার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের জয়ী হতে পারলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হবে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। যে কারণে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না ইংলিশরা।

পানামার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জয়ী হয়ে গ্রুপ-এইচ’র শীর্ষে রয়েছে বেলজিয়াম। তিউনিশিয়া যদিও দিনের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামকে পরাজিত করতে না পারে তবে পানামার বিপক্ষে তিন পয়েন্টেই ইংল্যান্ডের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে। এর আগে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক হ্যারি কেনের ইনজুরি টাইমের গোলে থ্রি লায়ন্সরা তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছিল।

পানামার বিপক্ষে প্রথম কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচে টানা সাফল্যের পথে ইংল্যান্ডকে ফেবারিট হিসেবে মানা হচ্ছে। রাশিয়ার যাত্রাটা এখন পর্যন্ত ভাল কাটলে সাম্প্রতীক সময়ে সাউথগেটের কিছু পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। থাইয়ের ইনজুরির কারণে কাল মাঠে নামতে পারছেন না ডেলে আলি। হার্নান ডারিও গোমেজের দলের বিপক্ষে রাহিম স্টার্লিংয়ের মূল একাদশে না খেলার গুঞ্জন রয়েছে। তার পরিবর্তে মধ্যমাঠ সামলাবেন রুবেন লফটাস-চিক। আর আক্রমনভাগে কেনের সাথে থাকবেন মার্কোস রাশফোর্ড।

প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড তিউনিশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বেশ কঠিন সময় পার করেছে। শঙ্কা রয়েছে শক্তিশালী শারিরীক দক্ষতার পানামার বিপক্ষে একইভাবে কঠিন সময় না কাটাতে হয় ইংলিশদের। শক্তিশালী বেলজিয়ামের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে গোলশুণ্য ড্র করে ম্যাচে টিকে ছিল পানামা। সাউথগেট অবশ্য রেপিনোতে নিজেদের বেস ক্যাম্পে গণমাধ্যমের সামনে দলের খেলোয়াড়দেও মধ্যে ইতিবাচক মনোভাবের চিত্রই তুলে ধরেছেন।

কনকাকাফ-এর কোনো দেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড তাদের শেষ চারটি বিশ্বকাপে অপরাজিত রয়েছে। এর মধ্যে শেষ দুটি ম্যাচ ছিল ড্র (২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ২০১৪ সালে কোস্টা রিকার বিপক্ষে)। ১৯৫০ সালে একমাত্র পরাজয়টি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে যে কয়টি ভিন্ন দেশের সাথে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে তার মধ্যে পানামা ৩৮তম। কনকাকাফের কোনো দল ইউরোপীয়ান কোনো দলের বিপক্ষে শেষ ১০টি বিশ্বকাপ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। এবারের টুর্নামেন্টে ওই জয়টি এসেছে জার্মানীর বিপক্ষে মেক্সিকোর জয়ে।

এর আগে ১৯৮২ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপের ম্যাচের জয়ী হয়েছিল। এবারের টুর্নামেন্টে কেন ইতোমধ্যেই দুটি গোল করেছেন। এর আগে ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকার একমাত্র ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপ পর্বে ৩টি গোল করেছিলেন।