মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে সমবয়সী মামীর সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন ভাগ্নে। মামীর প্রতি তার প্রেম এতটাই গভীর হয়ে যায় যে যে যত শীঘ্র সম্ভব মামীকে বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখতে থাকে ভাগ্নে। মামীও ভাগ্নের সাথে পরিকল্পনা করে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যান দুজনেই। অবশেষে ঘটনার ৪ মাস পর উত্তরপ্রদেশ থেকে অভিক্ত ভাগ্নেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে মামীকেও।
স্বামীর সঙ্গে সুখেই সংসার করছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির কুমিরডা গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী বেরা (মামী)। কিন্তু সেই সুখের সংসারকে তছনছ করতে উদয় ঘটে কুমিরদায় মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা অভিযুক্ত ভাগ্নে সোনু চৌহানের। প্রায় ২-৩ মাস মামার বাড়িতে থাকে সোনু। অভিযোগ যে মামা বাড়িতে থাকাকালীন সমবয়সী মামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্যক্তি। তারপরই মামীকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করে সে। প্ল্যানমাফিক মামীকে নিয়ে ভিনরাজ্যে পালায় প্রায় মাস চারেক আগে।
ভাগ্নে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরই সোনুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার মামা। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় অনুসন্ধান। শেষে পুলিশের সহযোগিতায় উত্তরপ্রদেশের বেগপাঠ এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ম্যারিশদা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তআর পর দুজনকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় কাঁথিতে।
ভাগ্নের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি মৌসুমী। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুখ খোলেন সোনু। জানান যে তিনি মামীকে খুবন পছন্দ করতেন। তাকে বিয়ে করার জন্য পালিয়ে যাবার প্ল্যান তৈরী করেন. আর তাতে তিনি যে কিছু অন্যায় করেছেন তা স্বীকার করতে রাজি নন তিনি। বরং পুলিশের কাছে সাফাই দিতে গিয়ে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন, ” ভগবান কৃষ্ণও রাধার প্রেমে মজেছিলেন, তাহলে এতে অন্যায়টা কোথায়?”