কান পরিষ্কার কীভাবে করবেন, কখন করবেন

কান ভালো রাখতে কিছু যত্নআত্তির প্রয়োজন হয়ই। কান শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যত্ন খুবই জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘কান পরিষ্কারের সবচেয়ে ভালো সময় হলো গোসলের পর। তখন কান একটু ভেজা ভেজা থাকে। এতে ময়লা সহজে বের হয়ে আসে। তবে প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে একদিন এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। এ ছাড়া কান ভালো রাখতে আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে এই পদক্ষেপগুলোর কথা।

 

চিকিৎসকের কাছে যান

কোনো সমস্যা না থাকলেও ছয় মাসে অন্তত একবার নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। এতে আপনার কানের কী অবস্থা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা থাকলে প্রাথমিক অবস্থাতেই এর চিকিৎসা করিয়ে নিতে পারবেন।

তেলের ব্যবহার

কান পরিষ্কার করতে রাতে শোয়ার আগে কয়েক ফোঁটা তেল দিতে পারেন। এতে ময়লাগুলো নরম হয়ে যাবে। তখন ময়লা বেরিয়ে আসতে সুবিধা হবে।

কান খোঁচানো নয়

কান চুলকানোর সময় অনেকে হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই কান খোঁচানো শুরু করে। পেনসিল, ক্লিপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে থাকে। যদি কানে কিছু ব্যবহার করতেই হয়, তবে কটন বাড ব্যবহার করুন। তবে সেটি একটু তেল দিয়ে ভিজিয়ে বা আর্দ্র করে ব্যবহার করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কানের ময়লা এমনিতেই বেরিয়ে আসে। ঘন ঘন কটন বাড ব্যবহারও ঠিক নয়।

ছিদ্রের বেশি ভিতরে ঢুকবেন না

কান পরিষ্কারের সময় বাইরের দিকটা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। খুব বেশি ভিতরের দিকে ঢুকবেন না। এতে কানে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কান পরিষ্কারের সময় খুব সতর্ক থাকা উচিত। আলতোভাবে কাজটি করতে হবে।

হেড ফোন শেয়ার না করা

হোক আপনার খুব আপন লোক, হেড ফোনটা কিন্তু না শেয়ার করাই ভালো। তার কানে তো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকতেই পারে, তাই নয় কী! হেড ফোনের সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু তখন শেয়ার হয়েই যেতে পারে। তখন আপনিও সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

জোরে গান না শোনা

দুই ঘণ্টার বেশি খুব জোরালো আওয়াজে গান শোনা ঠিক নয়। এতে কানের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া কান ভালো রাখতে খুব জোরে আওয়াজ হয়, এরকম জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো।

ধূমপান করবেন না

খুব বেশি ধূমপান করলে কানে শোনার সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় ধূমপান ছেড়ে দিতে পারলে।

লেখক—

অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু

বিভাগীয় প্রধান

ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।