‘বাংলাদেশকে চিনি, দোয়া করবেন’

গতকাল রাশিয়ার সাথে ৩-১ গোলে হেরে এবারের বিশ্বকাপ থেকে মিশরের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। সালাহ নিজে এক গোল করেও দলকে বাচাতে পাড়েনি। আসসালামু আলাইকুম মোহাম্মদ সালাহ। মিক্সড জোনে ঢুকে নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে থাকা মিসরীয় তারকা চোখ তুলে তাকালেন। হেসে সালামের জবাব দিলেন। এরপর কিছুক্ষণের আলাপন। বেশি কিছু নয়।

সালাহর মন খারাপ, এটা বোঝার জন্য মনোবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তার দল। এই দুঃখ বুকে নিয়ে সালাহর মতো ফুটবলারের পক্ষে কথা বলা যে সত্যিই কঠিন চারদিকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। মোবাইল ক্যামেরাগুলো বন্ধ করতে হয় ফিফা কর্মকর্তাদের চোখ রাঙানিতে।

আড়ালে-আবডালে চেষ্টা করে ধরা পড়লেই বকুনি খেতে হয়। শত বাধা-বিপত্তি ঠেলে সালাহর কাছাকাছি হওয়া সত্যিই এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ভিড় ঠেলে তার কাছে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে মিক্সড জোনের শেষ প্রান্তে আসতেই জুুতসই জায়গা পাওয়া গেল।

কেমন আছেন? এর আসলে কোনো উত্তর হয় না। পরাজিত সৈনিককে এমন প্রশ্ন করতে নেই। সালাহ কেবল এক গাল হাসলেন। করুণ সে হাসি। বাংলাদেশকে জানেন? সেখানে আপনার অনেক ভক্ত আছে, যারা আপনার জন্য সব সময় প্রার্থনা করে।

‘আমি চিনি বাংলাদেশকে। জানি তোমাদের দেশে আমার অনেক ভক্ত। তারা চেয়েছিল মিসরের জয়। আশা পূরণ করতে পারলাম না। এ জন্য দুঃখিত। আমার জন্য দোয়া করবে যেন আরও ভালো খেলতে পারি। বাংলাদেশের শুভ কামনা করি। বের হওয়ার সময় গলায় ঝুলানো অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডে ইংরেজি লেখা দেখে সহাস্যে উচ্চারণ করলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন।’

এতটুকু বলেই মিক্সড জোনের শেষ প্রান্তটা পেরিয়ে গেলেন এরই মধ্যে মিসরীয় মেসি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সালাহ। রাশিয়ার কাছে পরাজয়ে বিশ্বকাপে মিসর এখন বিদায়ী দল। তবে সালাহকে কেউ বিদায় দিতে রাজি নন। সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়ে ওলগা রাশিয়ার পতাকা হাতেও মধ্যরাতে সালাহর জার্সি গায়ে ঘুরে বেড়ায়। ওলগার মতো অনেকেই চান, সালাহ থাকুন। অন্তত বিশ্বকাপের দিনগুলোয়।