জনমতের চাপে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার নীতি বদলালেন ট্রাম্প

জনমতের চাপে সিদ্ধান্ত পাল্টে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নির্বাহী আদেশে অভিবাসী বাবা-মা ও সন্তানরা বন্দিশালায় একসঙ্গে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাবা-মা ও তাদের সন্তানদের আলাদা করার প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি থেকে সরে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ২০৬ জন বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৪২ জন শিশুকে।

ট্রাম্প বলেন, বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের আলাদা করার দৃশ্য তাঁর মনে দাগ কেটেছে। তবে তাঁর নীতির কারণে এরই মধ্যে যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি এই নির্বাহী আদেশে।

বুধবার এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, এর ফলে পরিবারকে একসঙ্গে রাখা হবে। তিনি বলেন, পরিবারগুলো আলাদা হওয়ার দৃশ্য আমার ভালো লাগেনি। তবে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে তাদের ব্যাপারে প্রশাসন শূন্য সহনশীল বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, হৃদয়সম্পন্ন যেকোনো মানুষই অত্যন্ত আপ্লুত হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ুক, আমরা তা চাই না।

নির্বাহী আদেশে যা আছে

.অভিবাসী পরিবারগুলোকে একসঙ্গে আটক রাখা হবে। এর মধ্যে বিচারকাজ চলবে।
.পরিবার-সংক্রান্ত অভিবাসী মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
.অভিবাসী শিশুদের কত দিন আটকে রাখা হবে, জানতে চেয়ে আদালতের যে রুল রয়েছে, তা পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করার সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী কার্সটেন নিলসেন। রিপাবলিকান কংগ্রেস নেতা পল রায়ান বলেছেন তারা বৃহস্পতিবার ভোটের মাধ্যমে একটি আইন পাশ করবেন। এতে করে পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারবে। তবে এর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।