প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেলেন চেয়ারম্যান

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পরপর দুবারের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার। পাশাপাশি তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক। তার স্ত্রী ও সন্তান চট্টগ্রাম জেলা শহরে বাস করেন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান লতিফ বাড়িতে একাই থাকেন। আর এ সুযোগে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে যান তিনি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যান চেয়ারম্যান লতিফ। প্রথমদিকে কয়েক মাস তারা গোপনে মেলামেশা করলেও সম্প্রতি দিনের বেলায়ও একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন। বিষয়টি এলাকার লোকজনের নজরে আসে।

সোমবার রাত ৮টায় তারা বাড়ির একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে, স্থানীয় লোকজন চারপাশ ঘিরে ফেলে। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশ ডাকে। কিছু সময় পর স্থানীয় থানা পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে।

আটক লতিফ চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার অপরপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’

তবে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, ‘৯৯৯ থেকে আমরা একটি ফোন পাই। জানতে পারি চেয়ারম্যান লতিফ এক নারী নিয়ে তার এলাকায় একটি কক্ষে আছেন এবং এলাকাবাসী তাকে ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখতে পাই অনেক লোকজনের সমাগম।’

তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান যে নারীকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন তাকে তিনি স্ত্রী পরিচয় দেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। প্রবাসীর স্ত্রীও তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। তাই তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।’