ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে বিয়ে করার পর জোর করে ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠল এক সংখ্যালঘু যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায়। অভিযুক্ত সফরাজ হুসেন, তাঁর বাবা ইজহার হুসেন, মা শাকিলা ও ভাই জফর হুসেন-সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিস।
বিলাসপুরের এসএইচও এসপি সিং জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে মোরাদাবাদে স্নাতকস্তরে পড়ার সময়েই সফরাজ হুসেনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর।তাঁর কলেজের বিপরীতে একটি অফিসে কাজ করতেন সফরাজ। নিজেকে রাজ বিষ্ণোই বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। সন্দেহ যাতে না হয় মেয়েটির সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে পুজোও দিতেন সফরাজ।
বিয়ের আগে ২০১৫ সালের অগাস্টে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ার পর হরিদ্বারের মন্দিরে জোর করে বিয়েও করে সফরাজ ওরফে রাজ। এরপর রামপুরে নিজের স্ত্রীকে রেখে চলে যান তিনি। পরে দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরপর সফরাজের আসল পরিচয় জানতে পারেন ওই তরুণী। তা সত্ত্বেও তিনি সংসার করছিলেন। ২০১৭ সালে নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে যান সফরাজ। নিকাহও করেন। অভিযোগ, নিজের স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দিতে শুরু করেন তিনি। তবে সেই চাপের কাছে মাথা নত করেননি তরুণী। সে জন্য অকথ্য অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ তাঁর। তরুণীর দাবি, একদিন মৌলবিকে ডেকে জোর করে আমায় ধর্মান্তর করা হয়। এমনকি সফরাজের ভাই তাঁকে ধর্ষণও করে।
অত্যাচার ও লাগাতার ধর্ষণের পর কোনওক্রমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তরুণী। এরপর রামপুরে নিজের বাড়ি ফিরে পুলিসের কাছে এফআইআই করেন তিনি। সফরাজ ও তাঁর পরিবার ফেরার। পুলিস জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।