হ্যালো ভাই, গেস্ট হয়ে আসবেন, সব দিবো যা চাইবেন নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের :অতঃপর

হ্যালো ভাই, আসা যাবে। কবে আসবেন। কালকে সকালে। কোনো অসুবিধা হবে না তো। আরে না রে ভাই। ট্যাকেল দেয়ার জন্য মাসে হাজার হাজার টাকা খরচ করি। আর অ্যাপার্টমেন্ট বাসা। এখানে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে কাজ করি। গেস্ট হিসাবে আসবেন। কে কি বলবে। নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।/

বিভেক হীনতায় ভরে গেছে যুবসমাজ । যে কোন খারাপ কাজে বাধা খাচ্ছে না তারা । যুব সমাজ আজ ভয়ংকর দিকে যাচ্ছে দিন দিন ।তারি প্রতিফলনে বিভিন্ন অপকর্মে জরাচ্ছে তারা ।তেমনি একটি ভয়ংকর অপরাধে জরিয়েছেন এক প্রেমিক যুগল।/

এভাবেই কথা হয় সুবিধাভোগী আর ফ্ল্যাট ডেটিংয়ের সার্ভিসম্যানের এক সদস্যের। দরকষাকষি করে একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে যায় অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ব্যবস্থা। হালে পাল্টেছে ডেটিংয়ের ধরন। /

নিরাপত্তাকর্মীদের হয়রানি ও লোকলজ্জা থেকে আড়াল থাকতে এমনটাই করছে বলে জানিয়েছে অনেক প্রেমিক জুটি। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেছেন অন্যকথা, সামাজিক অবক্ষয়ের সঙ্গে ইন্টারনেটের ভয়াবহতা ও মাদকের ভয়াল ছোবলেই তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে এমন পথ।/

এক সময় পার্কে জমতো ডেটিং। বাদাম, বুট, ঝাল মুড়ি খেয়েই সময় পার করত প্রেমিক জুটি। ইদানীং অনেক প্রেমিক জুটির ফ্ল্যাটমুখী ডেটিংয়ে আগ্রহ বেড়েছে। বিনোদন স্পট বা ডেটিং স্পটগুলোতে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে।/

তাদেরই এক বন্ধু তার বান্ধবীকে নিয়ে প্রায়ই উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া করত। কাটাতো বেশ অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। সে তার অন্য বন্ধুদের খুব মজা করে এসব কথা শেয়ার করতো। তাই রিয়াদেরও ইচ্ছে হয় অনুফাকে নিয়ে ফ্ল্যাট ডেটিংয়ের। /

বন্ধুর সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে রিয়াদ তখন অনুফাকে রাজি করার জন্য উঠেপড়ে লাগে।এক পর্যায়ে প্রেমিকা অনুফা রাজি হয়ে গেলে চলে আসে ফ্ল্যাট ডেটিংয়ে ।এরকম অপরাধ সমাজে অহরহ হচ্ছে যা প্রতিকার করতে সচেতনেতা দরকার সব বাবা মায়ের । তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা ।/

রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অনুফা ও রিয়াদ (ছদ্মনাম)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বছর থেকে তাদের মধ্যে পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে। দু’জনই অভিজাত ঘরের সন্তান। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরে বেড়াতেন পার্কে, রিসোর্টে ও রেস্তরাঁয়। তাদের বন্ধুরাও অনেকেই বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দিত।/