ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাগেরহাটে আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বরণে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট সুন্দরবন ও ষাট গম্বুজ মসজিদ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাইরে থেকে আশা হাজার হাজার পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ও জেলা প্রত্মতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ঈদের ছুটি বতিল করা হয়েছে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের।

এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষ্যে সুন্দরবনে আশা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলোতে অবাদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর ষাট গম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজার, বারাকপুরে অবস্থিত সুন্দরবন রির্সোট সেন্টার, শহরের দশানী পার্ক ও শহরের দড়াটানা নদী সংলগ্ন পৌর পার্কসহ জেলার পর্যটনস্পট গুলোতে পর্যটকদের কছে আকর্ষনীয় করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদের কাস্টডিয়ান গোলাম ফেরদৌস জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য সাইড ষাট গম্বুজ মসজিদে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ব্যপক আগম ঘটে। ঈদের সময় জেলার বাইরে থেকে চোখে পড়ার মত দর্শনাথীরা এখানে ঘুরতে আসে। এ সময় পর্যাটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ সদস্যসের একটি টিমসহ জেলা প্রত্মতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদী সংলগ্ন পৌর পার্কের ক্যান্টিনের এক অংশের মালিক রাজু আহমেদ জানান, ঈদে পৌর পার্কে ঘুরতে আসা ভ্রমণ প্রিয় হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে। ঈদে আমাদের বেচাকেনাও ভালো হয়। ঈদের তিন দিন পর্যান্ত ঘুরতে আসা মানুষের আগমন অব্যাহত থাকে। এছাড়া দড়াটানা নদীর পাড়ের দৃষ্টিন্দন দৃশ্য সব সময়ই দর্শনাথীদের আকর্ষন করে। যে কারণে শুধু ঈদে নয় সব সময়ই এখানে ভ্রমণ পিপাসুদে ভিড় লেগে থাকে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে করমজলে দেশি-বিদেশি পর্যাটকদের ব্যাপক আগমন ঘটে। ঈদের দিন মূলত স্থানীয় লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। ঈদের পরদিন থেকে দর্শনার্থী বা পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতি বছরের মত এবারও ঈদ উপলক্ষ্যে করমজলকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে বিভিন্ন স্থাপনা মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহামুদুল হাসান জানান, ঈদে সুন্দরবনের করমজল, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট ও দুবলারচরসহ পর্যটন স্পটগুলোতে আগমন ঘটে হাজার হাজার পর্যটকদের। ম্যানগ্রোভ এই বনে বর্তমানে পর্যটন মৌসুম না হলেও ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল, শরণখোলা রেঞ্জসহ সন্নিহিত বন লোকালয়ে ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে আগত দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণিসহ বনজ সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারির ঈদের ছুটি বতিল করা হয়েছে। একই সাথে সুন্দরবনে পরিচালিত আধুনিক প্রযুক্তি র্নিভর পাহারা ‘স্মার্ট প্রেট্রোলিং’ চলমান থাকছে।